মাহিয়া মাহির বিরুদ্ধে পারিশ্রমিকের বাইরে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ করলেন ‘অবতার’ পরিচালক মাহমুদ হাসান শিকদার। ছবিটির গানের দৃশ্যায়নে ব্যবহারের আটটি পোশাকের জন্য পোশাকপ্রতি গড়ে ২০ হাজার টাকা করে নিয়েছেন। পরের অভিযোগটি আরো গুরুতর, পোশাকের জন্য টাকা নিলেও অন্য ছবিতে ব্যবহৃত পুরনো পোশাক পরেই নাকি ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন অভিনেত্রী।
মাহমুদ আরো বলেন, ‘বিভিন্ন সিকোয়েন্সের জন্য ৩০টি পোশাক ডিজাইন করা হলেও মাহি সেগুলো পরেননি। প্রডাকশনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে নিজের পছন্দমতো কিনে নিয়েছেন। সেই পোশাক শুটিং শেষে ফেরতও দেননি! তা ছাড়া মাহি শুটিংয়ে যেতেন ১০ জনের টিম নিয়ে। যার খরচ বহন করতে হতো প্রযোজককেই। উত্তরা থেকে আশুলিয়া গেছেন নিজের গাড়িতে, এ জন্য জ্বালানি বাবদ চার হাজার টাকা, মানিকগঞ্জে যাওয়ার জন্য আট হাজার টাকা—পারিশ্রমিক বাবদ ১০ লাখের বাইরে এমন আরো অনেক খাতেই মাহিকে টাকা দিতে হয়েছে।’
কিন্তু তখন প্রতিবাদ না করে এখন কেন করছেন? ‘ভয়ে, ছবি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয়ে’—বললেন মাহমুদ হাসান শিকদার। মাহমুদের সমর্থনে ফেসবুকে মাহির বিরুদ্ধে আরো অনেক অভিযোগ তুলে পোস্ট দিয়েছেন আরেক নির্মাতা মোহাম্মদ হোসেন জেমী।
মাহি এখন কক্সবাজারে, একটি শোতে অংশ নিতে সেখানে গিয়েছেন তিনি। এত এত অভিযোগের জবাব জানতে মাহিকে ফোন করা হলে তিনি জানান, ‘চুক্তিপত্রে এ সব কিছুই উল্লেখ ছিল, এখন অভিযোগ করলে আমার কী-ই বা করার আছে। ছবি মুক্তির এক মাস পর অভিযোগ করছেন, কারণ পরিচালক আলোচনায় আসতে চান। আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে ছবি ছিল এটা। প্রযোজককে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্যই আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে দায় এড়াচ্ছেন। আর এসব অভিযোগ তিনি প্রযোজক বা পরিচালক সমিতিতে কেন করছেন না? কেন মিডিয়ায় করছেন? তবু বলছি, অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে টাকা ফেরত দেব।’