The news is by your side.

মার্কিন দুই প্রতিষ্ঠানের ওপর চীনের নিষেধাজ্ঞা

0 96

 

মার্কিন দুই প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে চীন। সম্প্রতি তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের যুক্তরাষ্ট্র সফরকে কেন্দ্র করে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

শুক্রবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংক ট্যাংক হাডসন ইনস্টিটিউট এবং ক্যালিফোর্নিয়ার রোনাল্ড রিগ্যান প্রেসিডেন্সিয়াল লাইব্রেরি চীনের প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের সঙ্গে কোনো ধরনের সহযোগিতা ও লেনদেন নিষিদ্ধ করা হবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হাডসন ইনস্টিটিউট ও রিগ্যান লাইব্রেরি যুক্তরাষ্ট্র সফরে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানিয়েছেন, যা চীনের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন করেছে।

গত বুধবার রোনাল্ড রিগ্যান প্রেসিডেন্সিয়াল লাইব্রেরিতে সাই ও মার্কিন হাউস স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির মধ্যে একটি বৈঠক হয়। তাইওয়ানের কোনো রাষ্ট্রপতি যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবারের মতো মার্কিন স্পিকারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

চীনের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে বৈঠক করেছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলস থেকে ৫৫ কিলোমিটার দূরে সিমি উপত্যকার রোনাল্ড রিগ্যান প্রেসিডেন্সিয়াল লাইব্রেরিতে এ বৈঠক হয়।

এর মধ্য দিয়ে ১৯৭৯ সালের পর প্রথম কোনো শীর্ষস্থানীয় মার্কিন কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করলেন।

বৈঠকে ম্যাকার্থি তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টকে ‘আমেরিকার অন্যতম বন্ধু’ বলে উল্লেখ করেন। সেই সঙ্গে তিনি গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে তাইওয়ান ও যুক্তরাষ্ট্রের একযোগে কাজ করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন।

বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে ম্যাকার্থি বলেন, তাইওয়ানকে সব ধরনের সহায়তা দিয়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্র।

এ সময় সাই ইং–ওয়েন বলেন, আমরা যখন একসঙ্গে থাকি তখন আমরা আরও বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠি। গুয়াতেমালা ও বেলিজ সফর শেষে লস অ্যাঞ্জেলেসে গেছেন সাই ইং–ওয়েন।

এই বৈঠকে ক্ষুব্ধ হয়েছে চীন। এ ব্যাপারে আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিল বেইজিং। চীনের তাইওয়ান অ্যাফেয়ার্স অফিসের মুখপাত্র ঝু-ফেংলিয়ান বেইজিংয়ে সাংবাদিকদের জানান, যুক্তরাষ্ট্রে ওয়েনের এই ট্রানজিট মূলত মার্কিন কর্মকর্তা এবং আইন প্রণেতাদের সঙ্গে দেখা করার জন্য। তিনি যদি মার্কিন হাউসের স্পিকার ম্যাকার্থির সঙ্গে বৈঠক করেন, তাহলে তা হবে আরেকটি উস্কানি। কারণ, এই ধরনের বৈঠক এক-চীন নীতির চরমভাবে লঙ্ঘন, চীনের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার জন্য হুমকি, যা তাইওয়ান প্রণালিতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.