The news is by your side.

মফিদা আকবর : একজন বহুমাত্রিক লেখক

0 672

 

 

আল মামুন মতিন

নব্বই দশকের বহুমাত্রিক লেখক মফিদা আকবর। ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের পাগলা থানাধীন নিগুয়ারী গ্রামে ৫ জুন, ১৯৬৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মোঃ মফিজুল হক, ১৯৭৭ ও ১৯৯২ সনে গফরগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৬৭ ও ১৯৭০ সালে ময়মনসিংহ সদর মহকুমা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকও ছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধকালীন ৩নং সেক্টরের সোনার বাংলা যুব শিবিরের পলিটিক্যাল মটিভেটর ও গফরগাঁও থানা মুক্তিবাহিনীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা হিসাবে রণাঙ্গনে সরাসরি উপস্থিত থেকে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর সহোদর ছোট ভাই জহিরুল হক (যুদ্ধকালীন গফরগাঁও কলেজের বিএ বর্ষের ছাত্র) ভালুকায় যুদ্ধরত অবস্হায় শহীদ হন। আরেক সহোদর বজলুল হকও মুক্তিযোদ্ধার মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান বাহিনী বাড়ি পুড়িয়ে দেয়।

মফিজুল হক ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য। মফিদা আকবর ৬ ভাই বোনের মধ্যে সবার বড়। ছোট ভাই অধ্যাপক সোহেল মাজহার : কবি, লেখক ও গবেষক। মফিদা আকবর কৈশোরে ছড়া-কবিতা লেখার মাধ্যমে সাহিত্যে পদার্পণ। কৈশোরেই বিয়ে (১৯৭৬ সালে)। শ্বশুর বাড়ি নরসিংদীতে স্কুলে ভর্তি হন। কিন্ত কৈশোর বয়সেই মা হয়ে (১৯৭৮সালে) যাওয়াতে লেখাপড়ায় এবং লেখালিখিতে ছেদ ঘটে। চলে আসেন ঢাকায়। শুরু হয় পেশা আর জীবনের লড়াই। স্কুল কলেজে নিয়মিত পাঠের সুযোগ না ঘটলেও যথাসময়ে পাস করেন এসএসসি (১৯৮০সালে)।

নিজস্ব চেষ্টায় ঘরে বসেই সম্পন্ন করেছেন এমএ (ইসলাইক স্টাডিজ) ঢাকা কলেজ থেকে (১৯৯৮ সালে)। সে প্রেক্ষিতে বিস্ময়কর কাহিনী তাঁর নিজের জীবনকে ঘিরেই। কর্মস্থলঃ দৈনিক ইত্তেফাক-এ সহ-সম্পাদক হিসেবে ৩৩ বছর একটানা চাকরি জীবন। বর্তমানে অবসর যাপন করছেন।

তৃতীয় শ্রেণিতে পড়াকালীন সময়ে ছড়া কবিতা দিয়ে যাত্রা করা মফিদা আকবর বর্তমানে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক এবং কথাশিল্পী হিসেবেই সমধিক পরিচিত।

প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে সর্বাধিক গ্রন্থের লেখক- (গ্রন্থ ষোলটি) এবং বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লিখেছেন বিশটি বই। তিনি মুক্তিযুদ্ধ ও শিশুতোষ বই লিখেছেন বেশি এবং এখনো লিখে যাচ্ছেন। শিশুতোষ একটি গ্রন্থ ব্র্যাকের স্কুলে পঠিত। ‘ছোটদের মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলি’ নামক একটি গ্রন্থ সারাদেশের সরকারি মাধ্যমিক স্কুলের লাইব্রেরিতে তালিকাভুক্ত। মফিদা আকবরের প্রথম লেখা উপন্যাস ‘আমার ইচ্ছে করে’ প্রকাশিত হয় ১৯৯৪ সালে। এখন পর্যন্ত মোট উপন্যাসের সংখ্যাঃ ২০টি। উল্লেখযোগ্য উপন্যাস -বিভ্রান্ত পথিক, আগুনবৃক্ষ, মা, দেবদূত, বর্ণচোরা, মুখ ও মুখোশ, পুরুষের রাজ্যে এক নারীর গল্প। কাব্যগ্রন্থঃ চারটি- শূন্যতার মুহূর্তগুলো, প্রিয় অভিমান, অচেনা ঘ্রাণ ও রক্তফোঁটা।

গল্পগ্রন্থঃ তিনটি – বৃহন্নলা, সীমানার দেয়াল ও স্বপ্নাচ্ছন্ন মীরার প্রেম। সম্পাদনা গ্রন্থসহ মফিদা আকবরের মোট গ্রন্থসংখ্যা নব্বইটি। পুরস্কারঃ সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় মোট দশটি । শখঃ মফিদা আকবর ভ্রমণ করতে ভালোবাসেন। তিনি হাঙ্গেরিসহ মোট আটটি দেশ ভ্রমণ করেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সাথে সম্মানিত বিশেষ অতিথি হিসেবে ইউরোপের হাঙ্গেরিতে সফরসঙ্গী হয়ে সফর করেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.