The news is by your side.

ভিকারুননিসার  শিক্ষক মুরাদের ফোন ও ল্যাপটপে যৌন হয়রানির প্রমাণ মিলেছে: পুলিশ

0 109

 

রাজধানীর আজিমপুরে নূন স্কুলে গণিত শিক্ষক মো. মুরাদ হোসেন স্কুলের পাশে কোচিং সেন্টারে ছাত্রীদের পড়ানোর নামে ভিন্ন সময়ে ছাত্রীদের শরীরে হাত দেওয়াসহ নানাভাবে যৌন হয়রানির প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। শিক্ষক মুরাদের মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপে এর প্রমাণ  পাওয়া গেছে ।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপোরেশন্স) ড. খ. মহিদ উদ্দিন।

তিনি বলেন, ডিএমপির লালবাগ থানায় এক ছাত্রীর অভিভাবক বাদী হয়ে মুরাদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

এক ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিভাকের দায়ের করা মামলায় গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর কলাবাগান থেকে শিক্ষক মুরাদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরবর্তীতে আদালতের মাধ্যমে দুই দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষ ভুক্তভোগীদের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া দাবি করেছে পুলিশ।

বাদী অভিযোগ করেছেন, তারা মেয়ে  ভিকারুননিসা নূন স্কুলের আজিমপুর শাখার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। ২০২৩ সালে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময়ে মুরাদের কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয় সে। কোচিং চলাকালীন প্রায় সময় ভুক্তভোগী ছাত্রী ও তার সহপাঠীদের সঙ্গে আপত্তিকর কৌতুক শোনাতেন শিক্ষক মুরাদ।

ওই ছাত্রী স্কুলে নাচ করতো, সেই নাচের ভিডিও শিক্ষক মুরাদ ঘুমানোর আগে দেখতো। ২০১৩ সালের ১০ মার্চ বিকালে ভুক্তভোগী ছাত্রীর সহপাঠীরা কোচিং এর পরে চলে গেলেও কৌশলে তাকে ডেকে বসিয়ে রাখে মুরাদ। পরে পানি আনার কথা বলে এবং হঠাৎ করে পেছন থেকে জড়িয়ে নানাভাবে যৌন হয়রানি করে। পরবর্তীতে এই বিষয় কারও কাছে না বলার অনুরোধ করে শিক্ষক মুরাদ ছাত্রীকে বলে, ‘আমি তোমাকে বাবার মতো জড়িয়ে ধরেছি, এটা কাউকে বলবে না।’

পরবর্তীতে একইভাবে দীর্ঘদিন ধরে মুরাদ কোচিং সেন্টারে ভুক্তভোগী ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করতো। এমনকি শিক্ষক মুরাদ ওই ছাত্রীকে নামাজ ঘরে নিয়েও যৌন নির্যাতন করেছে বলে দাবি মামলার বাদী ছাত্রীর অভিভাবকের। প্রতিবারই সে শিক্ষার্থীকে বলতো, আমি তোমার বাবার মতো, তাই এরকম করেছি। এই ঘটনা ভুলে যাও। এটা জানাজানি হলে তোমার মা-বাবার সম্মানহানি হবে এবং স্কুল থেকে তোমাকে বের করে দেবে।

মুরাদের এমন হুমকির কারণে ভুক্তভোগী ছাত্রী বিষয়টি গোপন রাখে। তবে সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এমন অশালীন আচরণের বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে তারা উদ্যোগী হয়ে বেশ কয়েকজন অভিভাবককে স্কুলে ডাকেন। পরবর্তীতে অভিভাবকদের উপস্থিতিতে শিক্ষক মুরাদের হাতে ছাত্রীদের যৌন নির্যাতনের বিষয়টি জিজ্ঞাসা করলে তারা বিষয়টি স্বীকার করেন। এই বিষয়টি প্রকাশিত হলে মুরাদের হাতে যৌন নির্যাতনের শিকার অনেক ছাত্রী মুখ খুলতে শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৫ ফেব্রুয়ারি আজিমপুরে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সামনে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা মিলে শিক্ষক মুরাদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.