ভারতের লোকসভা নির্বাচনে সম্ভবত হাতেখড়ি হচ্ছে না প্রিয়াংকা গান্ধীর। মায়ের ছেড়ে যাওয়া রায়বরেলি আসনে লড়বেন না তিনি।
রাহুল গান্ধী অমেঠি কিংবা রায়বরেলির মধ্যে যে কোনো একটি আসনে লড়তে পারেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
লোকসভা নির্বাচনে লড়বেন না প্রিয়াংকা গান্ধী। হাইপ্রোফাইল অমেঠি এবং রায়বরেলি লোকসভা কেন্দ্র থেকে এবার দূরত্ব বজায় রাখবেন গান্ধী ভাইবোন।
চলতি বছর লোকসভায় প্রিয়াংকা গান্ধী দলের হয়ে কেবলমাত্র প্রচার করবেন। পাশাপাশি রাহুল গান্ধী ওয়েনাড় ছাড়া আর কোনো কেন্দ্র থেকে লড়তে আগ্রহী কিনা, তা জানা যাবে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে।
কংগ্রেসের সেন্ট্রাল ইলেকশন কমিটির বৈঠকে অমেঠি এবং রায়বরেলি থেকে রাহুল এবং প্রিয়াংকাকে প্রার্থী করার জন্য মল্লিকার্জুন খাড়গেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়। উত্তর প্রদেশের কংগ্রেস সভাপতির তরফে এই প্রস্তাবের পক্ষে জোরাল সওয়াল করা হয়। তিনি জানান, অমেঠি এবং রায়বরেলির মানুষ রাহুল এবং প্রিয়াংকাকে ভীষণভাবে চাইছে।
২০ মে লোকসভা নির্বাচনে পঞ্চম দফায় অমেঠি এবং রায়বরেলিতে ভোটগ্রহণ। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির কাছে পরাজিত হয়েছিলেন অমেঠির কংগ্রেস প্রার্থী রাহুল গান্ধী। ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত এই কেন্দ্রেরই সাংসদ ছিলেন রাহুল। গত নির্বাচনে সেই ধারা ভেঙে কংগ্রেস গড়ে ধাক্কা লাগে। গত ২৬ এপ্রিল ভোটগ্রহণ হয়েছে কেরালার ওয়েনাড়ে। রাহুল গান্ধী দ্বিতীয়বারের জন্য সে কেন্দ্রে থেকে সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন।
সাবেক লোকসভা সাংসদ সোনিয়া গান্ধী রায়বরেলি আসনটি ছেড়ে রাজ্যসভায় পাড়ি দিয়েছেন। ২০০৪ সাল থেকে তিনি এই কেন্দ্রের সাংসদ। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি লোকসভা নির্বাচনে না দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন।
২৭ এপ্রিল অমেঠি এবং রায়বরেলি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন করা হয়েছিল কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে। তিনি জল্পনা জিইয়ে রেখে জানিয়েছিলেন, যথাসময়ে এই দুই কেন্দ্রের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে। তবে এর জন্য আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।