জয়া আহসান। যতটা ঢালিউডের, সময়ের আবর্তনে তার চেয়ে বেশি টলিউডের হয়ে উঠেছেন। ঢাকার সিনেমার চেয়েও কলকাতায় তার ব্যস্ততা বেশি। এই যেমন আগামী ২ জুন আরও একটি সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। নাম ‘অর্ধাঙ্গিনী’। সেই সূত্রে অবস্থান করছেন ‘সিটি অব জয়’-এ।
‘আবর্ত’ দিয়ে ২০১৩ সালে কলকাতার ছবিতে অভিষেক হয় জয়া আহসানের। টলি জার্নির এক দশক পূর্ণ হয়েছে। এই লম্বা অধ্যায়ে অর্জনের পাল্লা যথেষ্ট ভারি। দর্শকের প্রশংসা, পুরস্কার, টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে পোক্ত অবস্থান, সবই নিজের করে নিয়েছেন জয়া।
তার কাছে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি কী? সেটাই জানালেন এবার। জয়ার মতে, ‘‘আমি দ্বিতীয় একটা দেশ পেয়েছি। ছোটবেলা থেকে এত গল্প শুনেছি, ভারতকে কখনও আলাদা দেশ ভাবতাম না। বাবা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, তিনি বলতেন ভারত আমাদেরই দেশ। বাবা সবসময় দু’দেশের কথা বলতে গিয়ে ‘আমরা’ করেই বলতেন। কলকাতাকে আলাদা করে দেখেননি। সেটাকে নতুন করে পাওয়া আমার কাজের মধ্য দিয়ে। বাবা বেঁচে থাকলে খুব খুশি হতেন। এখান থেকে অ্যাওয়ার্ড নিচ্ছি, এখানকার মানুষ আমাকে ভালোবাসছে, এটা দেখতে পেলে বাবা ভীষণ খুশি হতেন। এই সময়ে দাঁড়িয়ে বাবাকে খুব মিস করি।’’
‘অর্ধাঙ্গিনী’ ছবিটি নির্মাণ করেছেন টলিউডের নন্দিত নির্মাতা-অভিনেতা কৌশিক গাঙ্গুলি। এই নির্মাতার সঙ্গে এটি জয়ার তৃতীয় কাজ। এর আগে ‘বিসর্জন’ ও ‘বিজয়া’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন অভিনেত্রী। আর দুটি সিনেমার সুবাদে পেয়েছিলেন ফিল্মফেয়ার পুরস্কার।
নির্মাতা সম্পর্কে জয়ার পর্যবেক্ষণ এরকম, ‘কৌশিকদা আমার কাছে একজন ভালো পরিচালক। সংবেদনশীল একজন মানুষ। তারপর তার অভিনয়সত্তা ও নির্মাতাসত্তা। আর আমরা দুজনেই সেনসিটিভ বলে হয়ত কাজ করে আনন্দ পাই। অন্য অভিনেতারাও একই কথা বলবে, আমি নিশ্চিত!’
গত এক দশকে ঢাকার চেয়ে কলকাতায় বেশি কাজ করেছেন জয়া। এর কারণ কী? জয়ার উত্তর, ‘এখানে পরপর ভালো কিছু কাজ পেয়েছি। নিজের দেশেও কাজ করেছি, তবে এখানে একটু বেশি। এখন আবার ভেবেছি বাংলাদেশের কাজে ওপর ফোকাস করবো।’
উল্লেখ্য, ‘অর্ধাঙ্গিনী’ ছবিতে জয়া আহসানের সঙ্গে আছেন চূর্ণী গাঙ্গুলি, কৌশিক সেন, অম্বরিশ ভট্টাচার্য, লিলি চক্রবর্তী প্রমুখ। আগামী ২ জুন ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে।