বরিশাল অফিস
বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) দুই প্রকৌশলীসহ মোট ৬ জনকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলা, সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নামে উৎকোচ নেওয়াসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বর প্রমাণিত হয়েছে।
চাকুরিচ্যুতরা হলেন- বরিশাল সিটি করপোরেশনের সহকারী প্রকৌশলী (চুক্তিভিত্তিক) বাকি উল্লাহ, উপ-সহকারী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম, স্টিমেটর (চুক্তিভিত্তিক) শাওন আকন, কার্য সহকারী (অস্থায়ী) শাহ জালাল, কর আদায় সহকারী নূর হোসেন ও শাহিন হোসেন।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে চাকুরিচ্যুতির বিষয়টি ভিশননিউজ ২৪.কম কে নিশ্চিত করেছেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস।
এসময় তিনি বলেন, মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর নির্দেশে বরিশাল সিটি করপোরেশনের সব সড়কের কাজ ৫ বছরের গ্যারান্টি নিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে।
সে অনুযায়ী সড়ক নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান কাজ করে এবং সে অনুযায়ী সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা কাজও সেভাবেই বুঝে নেন।
কিন্তু বরিশাল নগরের ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট সংলগ্ন সড়কে নির্মাণ কাজের মান খারাপ হলেও দায়িত্বরতরা সঠিকভাবে সেটি দেখভাল করেননি। বিষয়টি সম্পর্কে তারা কর্তৃপক্ষকেও জানাননি। যা দায়িত্ব অবহলো হিসেবে প্রতীয়মান হয়। এসব কারণে সহকারী প্রকৌশলী (চুক্তিভিত্তিক) বাকি উল্লাহ, উপ-সহকারী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম, স্টিমেটর (চুক্তিভিত্তিক) শাওন আকন, কার্য সহকারী (অস্থায়ী) শাহ জালালকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া ৫ নম্বর ওয়ার্ডের একটি হোল্ডিং নম্বরের অনুকূলে গ্রাহকের কাছ থেকে তিন অর্থবছরের টাকা নিয়ে সিটি করপোরেশনে কোষাগারে এক অর্থবছরের টাকা জমা দেন কর আদায় সহকারী নূর হোসেন। বাকি টাকা নিজেই আত্মসাৎ করেন তিনি। লেজার পোস্টিংয়ের সময় ঘটনাটি ধরা পড়ে। যে কারণে তাকে চাকুরিচ্যুত করা হয়।
বরিশাল নগরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের এক ব্যক্তির দশটি হোল্ডিংয়ের অনুকূলে মেয়র সাদিক ধার্য কর কমিয়ে দেন। তারপরও কর আদায় সহকারী শাহিন হোসেন ওই ব্যক্তির কাছ থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা অবৈধভাবে আদায় করেন। বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় তাকেও চাকুরিচ্যুত করা হয়।