প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ২১ বিশিষ্টজনের হাতে ‘একুশে পদক-২০২৪’ তুলে দিয়েছেন।
মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এই বেসামরিক পুরস্কার প্রদান করেন তিনি।
১৩ ফেব্রুয়ারি সরকার নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য একুশে পদকের জন্য ২১ জন বিশিষ্ট নাগরিকের নাম ঘোষণা করা হয়।
এ বছর ভাষা আন্দোলনে একুশে পদক পেয়েছেন আশরাফুদ্দীন আহমেদ (মরণোত্তর), বীর মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী মিয়া (মরণোত্তর), জালাল উদ্দীন খাঁ (মরণোত্তর)। ভাষা ও সাহিত্যে একুশে পদক পেয়েছেন কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ (মরণোত্তর); বাংলাদেশ কবিতা পরিষদের সভাপতি ড. মুহাম্মদ সামাদ, ছড়াকার লুৎফুর রহমান রিটন ও কবি মিনার মনসুর। সংগীতে একুশে পদক পেয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণী ঘোষ (সংগীত), বিদিত লাল দাস (মরণোত্তর), এন্ড্রু কিশোর (মরণোত্তর), শুভ্র দেব। অভিনয়ে একুশে পদক পাচ্ছেন ডলি জহুর ও এম এ আলমগীর। আবৃত্তিতে খান মোহাম্মদ মোস্তফা ওয়ালিদ (শিমুল মুস্তাফা) ও রূপা চক্রবর্তী একুশে পদক পেয়েছেন। নৃত্যকলায় একুশে পদক পেয়েছেন শিবলী মোহাম্মদ। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও আর্কাইভিংয়ের জন্য কাউসার চৌধুরী ও চিত্রকলায় শাহজাহান আহমেদ বিকাশ একুশে পদক পেয়েছেন। শিক্ষায় অবদানের জন্য অধ্যাপক ড. জিনবোধি ভিক্ষু; সমাজসেবায় অবদানের জন্য মো. জিয়াউল হক ও রফিক আহমদ একুশে পদক পাচ্ছেন।
একুশে পদক প্রদান উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী উভয়েই অনুষ্ঠানের সাফল্য কামনা করেন।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে ‘একুশে পদক’ প্রবর্তন করা হয়। পদকপ্রাপ্তদের চার লাখ টাকা করে দেওয়া হয়।