The news is by your side.

বিএনপি সীমান্তের এপার থেকে ‘অস্ত্র কিনছে’: ওবায়দুল কাদের

0 77

 

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ চায় সংঘাতমুক্ত, শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। কিন্তু জনসমর্থনে অবিশ্বাসী বিএনপি নির্বাচনে সংঘাত করতে আগ্নেয়াস্ত্র মজুদ করছে। খবর পাচ্ছি সীমান্তের এপার থেকে অস্ত্র কিনছে তারা। বিএনপি জানে গণশক্তি জনশক্তি নয়। তারা মনে করে অস্ত্রশক্তি হলো আসল শক্তি। যারা অস্ত্র দিয়ে ক্ষমতা আসে, তাদের প্রতি জনগণের আস্থা থাকার কথা নয়।’

মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সহযোগী সংগঠনসমূহের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সকল শক্তিকে নিয়ে নির্বাচনে বিজয়ের লক্ষ্যে অভিযাত্রা শুরু করবে বলে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের দিকে আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সব শক্তিকে নিয়ে আগামী নির্বাচনে বিজয়ের লক্ষ্যে অভিযাত্রা শুরু করব। আর ছাড় নয়, এই দেশকে আমরা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী পাকিস্তানের বন্ধুদের হাতে ছেড়ে দিতে পারি না। এদের হাতে গণতন্ত্র নিরাপদ নয়। বাংলাদেশের উন্নয়ন নিরাপদ নয়।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জিয়াউর রহমান জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসেনি। সেই ধারাবাহিকতায় জনগণের প্রতি বিএনপির আস্থা নেই। তারা জানে যে-নির্বাচন হলে কী ফল হবে।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি এমন একটা দল যে দলকে গ্যারান্টি দিতে হবে নির্বাচন হলে তাদের জয় সুনিশ্চিত। নতুবা তারা নির্বাচনের চলমান ব্যবস্থার প্রতি আস্থাশীল হবে না।’

দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘চোখ কান খোলা রাখুন। সতর্ক থাকতে হবে নির্বাচন পর্যন্ত। বিএনপি সংঘাত চায়। মাঠে সতর্ক থাকব সংঘাত যারা করতে আসবে তাদের প্রতিহত করব। তারা খালি মাঠ পেলে সংঘাত করবে। সেই প্রস্তুতি তারা নিচ্ছে।’

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন-আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেলন হক, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ, ড. আব্দুর রাজ্জাক, ফারুক খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জমান খান কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম ও সুজিত রায় নন্দী ও দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.