দুর্নীতির মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার ঢাকার এক নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবুল কাশেমের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তিনি। পাশাপাশি চিকিৎসা ও ডিভিশন চেয়ে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে তাকে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
দুদকের মামলায় ১৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে ঘোষিত রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশের পর আজ দুপুরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে আত্মসমর্পণ করেন আমান।
সকাল থেকেই ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের খণ্ড খণ্ড মিছিল দেখা যায়।
অন্যদিকে, বিএনপি নেতাকর্মীরা আদালত প্রাঙ্গণে অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করলে তাদের বের করে দেয় পুলিশ। মূলত, আমান উল্লাহ আমানের সঙ্গে আদালত প্রাঙ্গণে আসেন তারা।
গত ৭ আগস্ট দুর্নীতির মামলায় আমান উল্লাহ আমানের ১৩ বছরের কারাদণ্ড এবং তার স্ত্রী সাবেরা আমানের তিন বছরের দণ্ডের রায় বহাল রাখেন হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতে রায় পৌঁছানোর ১৫ দিনের মধ্যে তাদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়।
গত ৩ সেপ্টেম্বর এ মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণের পর আমানের স্ত্রী সাবেরা আমানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। গত ৫ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ ও নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য আগামী বছরের ১৫ জানুয়ারি দিন নির্ধারণ করেন আদালত।
প্রসঙ্গত, সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আমান দম্পতির বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছরের ও সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে আপিল করেন।
২০১০ সালের ১৬ আগস্ট সেই আপিল মঞ্জুর করে তাদের খালাস দেন হাইকোর্ট। এ রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২৬ মে রায় বাতিল করে হাইকোর্টকে মামলাটির আপিল পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।