বান্দরবনের তুমব্রু সীমান্তে শনিবার সকালেও গোলাগুলির আওয়াজ শোনা গেছে। এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। সকাল সাড়ে নয়টা থেকে শুরু করে প্রায় ২০ মিনিট গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়।
শুক্রবার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের সীমান্তে ৫টি মর্টারশেল হামলায় অন্তত একজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ৪ জন। এ ঘটনার পর ঘুমধুম সীমান্তে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে মিয়ানমার অভ্যন্তরে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। রাত ৮টার দিকে ঘুমধুম ঘোনারপাড়া সীমান্তে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পরপর ৫টি মর্টারশেল এসে বিস্ফোরণ হয়েছে। এতে ঘটনাস্থলে একজন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন শূণ্যরেখায় বসবাসকারী রোহিঙ্গা কমিউনিটির নেতা দিল মোহাম্মদ।
তিনি জানান, সন্ধ্যার পর থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলি, মর্টারশেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। রাত ৮টার দিকে শূন্যরেখায় বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে এসে পড়ে তিনটি মর্টারশেল। ক্যাম্পের নিকটবর্তী এলাকায় এসে পড়ে আরও দুটি মর্টারশেল।
পাঁচটি মর্টারশেল বিস্ফোরণ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে ঘটনাস্থলে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অনেকেই।
আরেক রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ আরিফ জানান, আহতদের মধ্যে চারজনকে উদ্ধার করে কুতুপালংস্থ এমএসএফ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের নাম মোহাম্মদ ইকবাল (১৮) বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে বিজিবি, পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এর আগে সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি এক যুবক আহত হয়।
ঘুমধুম ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলম গণমাধ্যমকে জানান, শুক্রবার সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বাইশফাঁড়ি চাকমা পাড়া সীমান্তের ৩৫ নম্বর পিলারের সংলগ্ন মিয়ানমারের ১০০ গজ অভ্যন্তর এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনায় আহত হয়েছে স্থানীয় অংথোয়াইং তঞ্চঙ্গা (২২) নামের এক যুবক। তিনি নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বাইশফাঁড়ি চাকমা পাড়ার অঙ্গোথোয়াই তঞ্চঙ্গার ছেলে। মাইন বিস্ফোরণে আহত যুবকের একটি পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
স্থানীয়দের বরাতে ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলম বলেন, শুক্রবার সকালে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বাইশফাঁড়ি চাকমা পাড়া সীমান্তের ৩৫ নম্বর পিলার সংলগ্ন এলাকায় আকস্মিক বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সীমান্তে মিয়ানমারের ১০০ গজ অভ্যন্তরে এক যুবককে আহতাবস্থায় পরে থাকতে দেখেন।