The news is by your side.

বাইডেন-মোদী বৈঠক: মানবাধিকার প্রসঙ্গ তুলবে যুক্তরাষ্ট্র

0 76

গত ন’বছরে পাঁচ বার আমেরিকা সফর করলেও মোদীর এই বারের সফরকে আনুষ্ঠানিক ভাবে সরকারি মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে। মেনে চলা হচ্ছে যাবতীয় কূটনৈতিক প্রোটোকলও। স্বভাবতই, মোদীর এ বারের সফরের গুরুত্ব একেবারেই আলাদা। আগামিকাল বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তার আগে আমেরিকার আইনসভার ৭৫ জন সদস্য (১৮ জন সেনেটর এবং ৫৭ জন হাউস অব রিপ্রেজ়েন্টেটিভসের সদস্য) চিঠি দিয়ে দাবি করেছেন, বাইডেন যেন মোদীর কাছে ভারতে মানবাধিকারের উদ্বেগজনক অবস্থা নিয়ে সরব হন।বাইডেনের উদ্দেশে লেখা ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘ভারত-আমেরিকার মজবুত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের। আমরা মনে করি, বন্ধুরাই পারে তাঁদের মতপার্থক্যের বিষয়গুলি নিয়ে সৎ এবং দ্বিধাহীন ভাবে আলোচনা করতে। তাই অন্য দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলির পাশাপাশি, মানবাধিকারের বিষয়টিও আপনি মোদীর সঙ্গে বৈঠকে উত্থাপন করুন’।

কোনও রকম রাখঢাক না করেই ওই ৭৫ জন সদস্য চিঠিতে বলেছেন, ‘ভারতে গণতান্ত্রিক পরিসর সঙ্কুচিত হচ্ছে। ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার উত্থান ঘটছে। নাগরিক সমাজ এবং সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের উপর ক্রমবর্ধমান বিধিনিষেধ উদ্বেগজনক ভাবে লক্ষ করা যাচ্ছে। তাই আমেরিকার বিদেশনীতির মূল ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে আপনি (বাইডেন) বিষয়গুলি নিয়ে সরব হোন’।

এ নিয়ে বাইডেন প্রশাসন বিবৃতিও দিয়েছে। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান বলেন, ‘‘আমেরিকা যখন দেখে সংবাদমাধ্যমের, ধর্মীয় বা অন্যান্য স্বাধীনতা খর্বের মুখে, তখন আমরা আমাদের মতামত প্রকাশ করি। সেই মতামত প্রকাশ করতে গিয়ে আমরা বক্তৃতা করি না। বৈঠকে প্রেসিডেন্ট বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর সামনে তুলবেন, কিন্তু তা নিয়ে উপদেশ দিতে যাবেন না।’’ তাঁর সংযোজন, ভারতের গণতন্ত্র ও রাজনীতির বিষয়টি নির্ধারণ করবেন ভারতীয়রাই। আমেরিকা নয়। যে কোনও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ভুলত্রুটি হয়, তা সংশোধন করে নেওয়া উচিত।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.