The news is by your side.

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে কোটিপতি অ্যাকাউন্টধারীর সংখ্যা

0 81

দেশের ব্যাংকগুলোতে কোটি টাকার বেশি জমা রয়েছে, এমন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সংখ্যা এখন ১ লাখ ১৩ হাজার। এসব অ্যাকাউন্টে  জমা রয়েছে দেশের ব্যাংক খাতের মোট আমানতের ৪৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে কোটিপতি অ্যাকাউন্টধারীর এই সংখ্যা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, চলতি বছর মার্চ প্রান্তিকে আমানতকারীদের মোট অ্যাকাউন্ট ছিল ১৪ কোটি ১১ লাখ ৩৭ হাজার ২৫৬টি। তাতে মোট জমা ছিল ১৬ লাখ ১৩ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা। ১ কোটি টাকার বেশি আমানতের অ্যাকাউন্ট সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১০ হাজার ১৯২টি। এ হিসাবে তিন মাসের ব্যবধানে কোটি টাকার অ্যাকাউন্ট বেড়েছে ৩ হাজার ৩৬২টি আর এক বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ৫ হাজার ৯৭টি।

২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ১ কোটি এক টাকা থেকে ৫ কোটি টাকার আমানতকারীর অ্যাকাউন্ট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৯ হাজার ৭৭২টি। এসব অ্যাকাউন্টে জমা ছিল ১ লাখ ৮৬ হাজার ৭০৮ কোটি টাকা। ৫ কোটি থেকে ১০ কোটির ১২ হাজার ২৪৫টি অ্যাকাউন্টে জমা ছিল ৮৬ হাজার ৬৩১ কোটি টাকা। এ ছাড়া ১০ কোটি থেকে ১৫ কোটি টাকার অ্যাকাউন্ট সংখ্যা রয়েছে ৪ হাজার ৮১টি, ১৫ থেকে ২০ কোটির মধ্যে ১ হাজার ৮৬৫টি, ২০ থেকে ২৫ কোটির মধ্যে ১ হাজার ২৭৬টি, ২৫ কোটি থেকে ৩০ কোটির মধ্যে রয়েছে ৯০৯টি আমানতকারীর অ্যাকাউন্ট। ৩০ থেকে ৩৫ কোটি টাকার মধ্যে ৫০৭টি এবং ৩৫ কোটি থেকে ৪০ কোটির মধ্যে রয়েছে ৩৫৩টি, ৪০ কোটি থেকে ৫০ কোটি টাকার হিসাব সংখ্যা ৭২২টি। এ ছাড়াও ৫০ কোটি টাকার বেশি আমানত রাখা অ্যাকাউন্ট সংখ্যা ১ হাজার ৮২৪টি। ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ব্যাংক খাতে মোট আমানতকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১৪ কোটি ৫৯ লাখ ৭৩ হাজার ১৯২টি। যেখানে জমা ছিল ১৬ লাখ ৮৭ হাজার ২৪ কোটি টাকা। এসব অ্যাকাউন্টের মধ্যে ১ কোটি টাকার বেশি টাকা জমা রয়েছে এমন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সংখ্যা রয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৫৪টি। এসব অ্যাকাউন্টে জমা ছিল ৭ লাখ ৩১ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিন মাস আগে চলতি বছরের মার্চ প্রান্তিকে আমানতকারীর সংখ্যা ছিল ১৪ কোটি ১১ লাখ ৩৭ হাজার ২৫৬টি। জমা ছিল ১৬ লাখ ১৩ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১ কোটি টাকার বেশি আমানতের অ্যাকাউন্ট সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১০ হাজার ১৯২টি। এ হিসাবে তিন মাসের ব্যবধানে কোটি টাকার অ্যাকাউন্ট বেড়েছে ৩ হাজার ৩৬২টি আর এক বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ৫ হাজার ৯৭টি। এক বছর আগেও ২০২২ সালের জুনে কোটি টাকার অ্যাকাউন্ট ছিল ১ লাখ ৮ হাজার ৪৫৭টি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে, স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৭২ সালে দেশে কোটিপতি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছিল মাত্র পাঁচটি। তিন বছরের ব্যবধানে কোটিপতি অ্যাকাউন্ট বেড়ে ৪৭টি হয়। ১৯৮০ সালে হয় ৯৮টি। ১৯৯০ সালে ৯৪৩টি, ১৯৯৬ সালে ২ হাজার ৫৯৪টি, ২০০১ সালে ৫ হাজার ১৬২টি। ২০০৬ সালে ৮ হাজার ৮৮৭টি। ২০০৮ সালে বেড়ে ১৯ হাজার ১৫৬৩টি হয়। ১২ বছরের ব্যবধানে ২০২০ সালে কোটিপতি অ্যাকাউন্ট একলাফে ৯৩ হাজার ৮৯০টিতে পৌঁছায়। ২০২১ সালে অতিক্রম করে লাখের ঘর। কোটিপতি অ্যাকাউন্টের সংখ্যা হয় ১ লাখ ১ হাজার ৯৭৬টি। আর গত বছরের ডিসেম্বরে ছিল ১ লাখ ৯ হাজার ৯৪৬টি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.