The news is by your side.

বাংলাদেশে বিয়ের হার কমেছে , সঙ্গে তালাকও : বিবিএস

0 45

 

সবাই ভালোবাসার একজন মানুষ চায়, যে সুখে-দুঃখে সব সময় পাশে থাকবে। দু’জন ভালোবাসার মানুষের পাশাপাশি বসবাসের সমাজ ও ধর্ম স্বীকৃত প্রাচীন প্রথা হলো বিয়ে।

বিপদে-আপদে সুখে-শান্তিতে পাশাপাশি থাকার শপথ নিয়ে বিয়ে করলেও আদতে সবাই একসঙ্গে জীবেনের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে পারে না। নেমে আসে বিচ্ছেদ। সমাজে যা তালাক নামে পরিচিত। তবু মানুষ ভালোবাসে, বিয়ে করে, সংসার সাজায়, বিচ্ছেদ করে আবার নতুন করে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) নতুন তথ্যে দেখা যাচ্ছে, দেশে বিয়ের হার কমেছে। পাশাপাশি কমেছে তালাকের হারও। ২০২৩ সালে দেশে বিয়ের হার ছিল (প্রতি হাজারে) ১৫.৭, যা ২০২২ সালে ছিল ১৮.১। আর ২০২১ সালে ছিল ১৩.৫।

এদিকে দেশে তালাক দেওয়ার হারও কমে ১.১ শতাংশ হয়েছে, ২০২২ সালে যা ছিল ১.৪ শতাংশ। ২০২১ সালে এ হার ছিল ০.৭ শতাংশ। বিবিএসের বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২৩-এর প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

২০২২ সালে বিয়ে বেশি হওয়ার বিষয়ে সমাজ বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, ২০২০-২১ সময়কালে করোনা মহামারির কারণে অনেক বিয়েশাদি হয়নি।

করোনা-পরবর্তী সময়ে ২০২২ সালে তাই বিয়ের হার বেড়ে গিয়েছিল। ২০২৩ সালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় তা কমেছে।

গ্রামে তালাক বেশি

বিবিএসের তথ্যে দেখা যায়, শহরে বিয়ের হার কম। ২০২৩ সালে ছিল প্রতি হাজারে বিয়ে ১২, গ্রামে এই হার ১৬.৮। ২০২২ সালে শহরে বিয়ের হার ছিল ১৩.৮ আর গ্রামে ১৯.৫।

তালাকের হারও গ্রামে বেশি, ২০২৩ সালে ছিল ১.১ শতাংশ। এর আগের বছর ছিল ১.৪ শতাংশ। আর শহরে এ হার ০.৯ শতাংশ, এক বছর আগে ছিল ১.০ শতাংশ।

তালাকের কারণ

বিবিএসের জরিপের দেখা যায়, তালাকের বড় কারণ বিয়েবহির্ভূত সম্পর্ক। জরিপে উত্তরদাতাদের প্রায় ২৩ শতাংশ এই কারণ দেখিয়েছেন। এর পর রয়েছে দাম্পত্যজীবন পালনে অক্ষমতাকে কারণ হিসেবে বলেছেন ২২ শতাংশ। ভরণপোষণের ব্যয় বহন করতে অক্ষমতা অথবা অস্বীকৃতি, পারিবারিক চাপ, শারীরিক নির্যাতন, যৌন অক্ষমতা বা অনীহা ইত্যাদিও রয়েছে তালাকের কারণের তালিকায়।

এক-তৃতীয়াংশ পুরুষ অবিবাহিত

দেশে বিবাহিত লোকের হার ৬৩.৯ শতাংশ, এক বছর আগেও এমনটাই ছিল। পুরুষের চেয়ে (৬২.২ শতাংশ) বিবাহিত নারীর সংখ্যা বেশি (৬৫.৬ শতাংশ)। প্রাপ্তবয়স্ক হলেও দেশে পুরুষের ৩৫.৮ ভাগ অবিবাহিত। তাদের কখনও বিয়ে হয়নি। এটি ২০২৩ সালের অবস্থা। ২০২২ সালেও ছিল একই চিত্র।

২১ দশমিক ৭ ভাগ পুরুষের কখনও বিয়ে হয়নি। ২০২২ সালে এর হার ছিল ২১ দশমিক ৯ শতাংশ। পুরুষের গড় বিয়ের বয়স ২৫.৪ বছর, নারীর ক্ষেত্রে এ বয়স ১৮.৮ বছর।

Leave A Reply

Your email address will not be published.