The news is by your side.

বাংলাদেশের জন্য আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি অনুমোদন

0 115

 

আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশের অনুকূলে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি বাবদ ৬৮ কোটি ২০ লাখ ডলার ছাড় করার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা। শিগগিরই এ অর্থ আইএমএফ থেকে ছাড় করে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়াশিংটনের হিসাবে স্থানান্তর করা হবে। আইএমএফের দুটি মৌলিক শর্ত বাস্তবায়ন না করেই বাংলাদেশ ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ ছাড়ের অনুমোদন পেল।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার রাত ৯টায় আইএমএফের সদর দপ্তর ওয়াশিংটনে সংস্থাটির নির্বাহী পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ ছাড়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সভায় শ্রীলংকার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ ছাড় করার প্রস্তাবও উঠেছে। সূত্র জানায়, চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশের অনুকূলে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদ। সাত কিস্তিতে ছয় মাস পরপর প্রতি কিস্তি ছাড়ের শর্তে এ ঋণ পাওয়ার কথা রয়েছে। অর্থাৎ অনুমোদনের পর থেকে ৪২ মাসে সমুদয় কিস্তির অর্থ পাওয়া যাবে। ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে ঋণের শেষ কিস্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। শর্ত হলো- প্রতি কিস্তি ছাড়ের আগে ঋণের শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতির বিষয়টি পর্যালোচনা করে ঋণ ছাড়ের সিদ্ধান্ত নেবে। ঋণের গড় সুদের হার ২ দশমিক ২ শতাংশ।

ঋণের প্রথম কিস্তি বাবদ ৪৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার চলতি বছরের গত ফেব্রুয়ারিতে আইএমএফের কাছ থেকে পেয়েছে বাংলাদেশ। এবার পাচ্ছে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি। দ্বিতীয় দফায় আইএমএফের শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি দেখতে গত অক্টোবরের শুরুর দিকে একটি মিশন ঢাকায় এসেছিল। তারা দুই সপ্তাহ ঢাকায় অবস্থান করে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করে অর্থনীতির একটি মূল্যায়ন করে গেছে। ওই সময়ে কিছু শর্ত বাস্তবায়নে বাংলাদেশ আইএমএফের কাছে সময় চেয়েছে। এর আলোকে আইএমএফ একটি প্রতিবেদন তৈরি করে তা নির্বাহী পর্ষদের কাছে উপস্থাপন করে। এর আলোকে পর্ষদ ঋণ ছাড় করার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।

সূত্র জানায়, আইএমএফের দুটি মৌলিক শর্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করতে পারেনি। এগুলো হলো গত জুনের শেষে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ন্যূনতম ২ হাজার ৪৪৬ কোটি ডলার রাখা। ওই সময়ে রিজার্ভ এর চেয়ে কিছুটা কম ছিল। বিশেষ করে জ্বালানি, সার ও খাদ্যপণ্য আমদানির জন্য রিজার্ভ থেকে ডলার খরচ করতে হয়েছিল বলে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রিজার্ভ প্রায় ৩০০ কোটি ডলার কম ছিল।

এছাড়া ন্যূনতম রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রাও পূরণ হয়নি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে সরকারের কমপক্ষে তিন লাখ ৪৫ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের শর্ত দিয়েছিল। বৈশ্বিক মন্দার প্রভাবে দেশের অর্থনীতিতেও মন্দা দেখা দেওয়ায় সেটি সম্ভব হয়নি। এদিকে আইএমএফের শর্তে গত জুনের মধ্যে কর জিডিপির অনুপাত দশমিক ৫ শতাংশ বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এছাড়া অন্য অনেক শর্ত পূরণ করেছে।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.