ব্যাটিং কিংবা বোলিং-ফিল্ডিং সব বিভাগেই আজ ব্যর্থ বাংলাদেশ দল। সেটার খেসারতও দিতে হয়েছে চড়া মূল্যে। বড় হারে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ খোয়ালো তামিম ইকবালের দল। আগে ব্যাট করে জেসন রয়ের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশকে ৩২৭ রানের বিশাল লক্ষ্য দেয় ইংল্যান্ড। জবাবে ব্যাটিং বিপর্যয়ে ১৯৪ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। বাংলাদেশ হারে ১৩২ রানে।
৩২৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে সাজঘরে ফিরে যান লিটন দাস। এরপরের বলে ক্রিজে এসেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান নাজমুল শান্ত।
হ্যাটট্রিকের আশা জাগালেও হ্যাটট্রিক করতে পারেননি স্যাম কুরান। এরপর ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে আবারও আঘাত হানে কুরান। দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে মুশফিককে সাজঘরে ফেরান।
এরপর ক্রিজে আসেন সাকিব আল হাসান। তামিমকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন সাকিব। দেখেশুনে খেলতে থাকেন এই দুই ব্যাটার। দু’জন মিলে অর্ধশত রানের জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন।
এরপর হাফসেঞ্চুরি করা সাকিব ৫৮ রানে বিদায় নিলে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ১৯৪ রানেই থেমে যায় তামিম ইকবালের দল।
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে সাবধানী শুরুর আভাস দেয় ইংল্যান্ড। ওপেনিংয়ে জুটি গড়ার চেষ্টায় ছিলেন ফিল সল্ট ও জেসন রয়। সপ্তম ওভারে এসে এই জুটি ভেঙে দেন তাসকিন। ডানহাতি পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের বল পয়েন্ট দিয়ে খেলতে যান সল্ট। তবে টাইমিং ঠিক হয়নি। ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় স্লিপে থাকা নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটে। ১৫ বলে তিনি করেছেন ৭ রান, দলীয় ২৫ রানে প্রথম উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। পাওয়ার প্লেতে এই একটি উইকেটই নিতে পারে বাংলাদেশ।
জেসন রয়ের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে থিতু হওয়ার আভাস দেন আগের ম্যাচের জয়ের নায়ক ডেভিড মালান। তবে এই যাত্রায় তাঁকে সফল হতে দেননি মিরাজ। ১৬তম ওভারে মালানকে এলবির ফাঁদে ফেলে মাঠ ছাড়া করেন মিরাজ। ৮৩ রানে ইংল্যান্ড হারায় দ্বিতীয় উইকেট, মালান করেন ১৯ বলে ১১ রান।
মালানের পর দ্রুতই আরেকটি ধাক্কা খায় ইংল্যান্ড। চারে নামা জেমস ভিন্সকে টিকতেই দেননি তাইজুল ইসলাম। তবে তিন উইকেট হারালেও ততক্ষণে থিতু হয়ে বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ান রয়। ওপেনিংয়ে নেমে ৫৪বলে তিনি তুলে নেন ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি। ২২তম ওয়ানডে হাফসেঞ্চুরি পেতে রয় হাঁকান সাতটি বাউন্ডারি।
হাফসেঞ্চুরির পর বাংলাদেশি বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে ১০৪ বলে শতকের দেখা পেয়ে যান ইংলিশ ওপেনার। নিজের ১২তম সেঞ্চুরি ১২টি চার ও এক ছক্কায় সাজান রয়। সেঞ্চুরির পর ছুটতে থাকা রয়ের ঝড় শেষ পর্যন্ত থামান সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশি অলরাউন্ডারের এলবির ফাঁদে পড়ে ১৩২ রানে থামেন ইংল্যান্ড ওপেনার।
রয়ের পর উইকেটে জমে যান জস বাটলার। বাকি সময় টেলএন্ডারদের নিয়ে ইংল্যান্ডকে টানেন বাটলার। তাতে নির্ধারিত ওভারে ইংল্যান্ড পায় শক্ত পুঁজি। অধিনায়ক বাটলার ৬৪ বলে উপহার দেন ৭৬ রানের ইনিংস। এ ছাড়া শেষ দিকে মঈন আলি করেন ৪২ রান। স্যাম কারানের ব্যাট থেকে আসে ৩৩ রান।