The news is by your side.

বঙ্গোপসাগরে বিদেশি জাহাজ নিশানা করছে দুষ্কৃতকারীরা

0 20

বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় দেশি–বিদেশি জাহাজে চুরি–ডাকাতির ঘটনা প্রায় শূন্যে নেমে এসেছিল। এ জন্য বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের প্রশংসাও করেছিল দস্যুতা পর্যবেক্ষণকারী আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। তবে এ প্রশংসা বেশি দিন ধরে রাখা যায়নি। কারণ, জাহাজের মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি–ডাকাতি করতে আবারও বিদেশি জাহাজ নিশানা করছে দুষ্কৃতকারীরা।

এশিয়ায় জাহাজে চুরি–ডাকাতি ও দস্যুতা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা রিক্যাপের (দ্য রিজিওনাল কো–অপারেশন অ্যাগ্রিমেন্ট অন কমব্যাটিং পাইরেসি অ্যান্ড আর্মড রবারি এগেইনেস্ট শিপস ইন এশিয়া) প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশে ছয়টি জাহাজে হানা দিয়েছে দুষ্কৃতকারীরা। এর মধ্যে চারটি ঘটনায় দুষ্কৃতকারীরা জাহাজে উঠে মালামাল লুট করেছে। আর দুটি জাহাজে চুরি–ডাকাতির চেষ্টা করলেও সফল হয়নি। একটি ছাড়া সব কটি ঘটনা ঘটেছে বঙ্গোপসাগরের চট্টগ্রাম বন্দর জলসীমায়। গত শুক্রবার প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়।

বন্দরের বেতার নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে ভেসেল ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বা ভিটিএমআইএসের মাধ্যমে জলসীমার সচিত্র তদারকি করা হয়। কোনো অপ্রয়োজনীয় নৌযান বড় জাহাজের কাছাকাছি গেলে সতর্ক করা হয়। আবার উপকূল থেকে ১২ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত এলাকা তদারকি করে কোস্টগার্ড। এই দুই সংস্থার বাইরে জাহাজ নোঙর করার পর সার্বক্ষণিক নজরদারির জন্য পাহারাদারও নিয়োগ দেওয়া হয়। এমন নানামুখী পদক্ষেপের পরও জাহাজে চুরি–ডাকাতির ঘটনা থামছে না।

বাংলাদেশের জলসীমায় সোমালিয়া উপকূলের মতো দস্যুতা নেই। গত দুই দশকে বাংলাদেশ জলসীমায় জাহাজ জিম্মি করার ঘটনাও ঘটেনি। এরপরও জাহাজে ছিঁচকে চুরি ও ডাকাতির ঘটনায় দেশের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়। সমুদ্রপথের বাণিজ্যেও প্রভাব পড়ে।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.