কেন্দ্রীয় ব্যাংক টাকার বিপরীতে আবারো বাড়াল ডলারের দাম। গতকাল ৩০ পয়সা বাড়িয়ে প্রতি ডলার ৯২ টাকা ৮০ পয়সা পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। গতকাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক অন্য ব্যাংকগুলোর কাছে আলোচ্য দরে ডলার বিক্রি করেছে। এ নিয়ে পরপর দুই দিনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বাড়াল ৮০ পয়সা।
ব্যাংকগুলো গতকাল পণ্য আমদানির জন্য (বিসি সেলিং) ডলার বিক্রি করেছে ৯৩ টাকা ৯৫ পয়সা থেকে ৯৪ টাকায়। আর নগদ ডলার বিক্রি করেছে ৯৮ টাকা পর্যন্ত। গতকাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক ছয় কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার বিক্রি করেছে ব্যাংকগুলোর কাছে। এ সুবাদে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে নেমেছে ৪১.৪৪ বিলিয়নে।
রেমিট্যান্স-প্রবাহ বাড়াতে ও রফতানি আয়ের ইতিবাচক ধারা বজায় রাখতে ডলারের অভিন্ন দর তুলে দেয়া হয়। গত মাসের শেষ দিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের অভিন্ন দর ৮৯ টাকা বেঁধে দিয়েছিল; কিন্তু রেমিট্যান্স-প্রবাহ বেশি হারে কমে যাওয়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের অভিন্ন দর তুলে দেয়। এর পর থেকে ব্যাংকগুলো ধারাবাহিকভাবে ডলারের দর বাড়াতে থাকে। গতকাল ব্যাংকগুলো এলসির জন্য ডলার ৯৪ টাকা বিক্রি করে। যদিও আন্তঃব্যাংকে এর চেয়ে বেশি দরে লেনদেন হয়েছে। আর ক্যাশ ডলার লেনদেন হয়েছে ৯৮ টাকা দরে।
বৈদেশিক মুদ্রাবাজার সহনীয় রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক তার রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে। আগে যেখানে ঢালাওভাবে ডলার বিক্রি করা হতো, এখন সরকারি ও অতি প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে সঙ্কটে পড়া ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করছে। ব্যাংকগুলোর চাহিদার চেয়ে খুব অল্প পরিমাণ ডলার বিক্রি করায় বাজারে বড় ধরনের সঙ্কট মিটছে না।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক যেটুকু সহযোগিতা করছে তা করা না হলে বৈদেশিক মুদ্রাবাজার আরো বেপরোয়া হয়ে যেত বলে ওই সূত্র জানিয়েছে। এ দিকে রিজার্ভ কমতে শুরু করেছে। যেখানে ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছিল, এখন তা কমতে কমতে গতকাল ৪১.৪৪ বিলিয়নে নেমেছে। পাঁচ মাসের আমদানি ব্যয় মেটাতে যেখানে প্রয়োজন ৪০ বিলিয়ন ডলার, রিজার্ভ এ প্রান্তিক স্তরের কাছে কাছাকাছি চলে এসেছে। এ কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অত্যন্ত সতর্কতার সাথে রিজার্ভ বাজারে ছাড়ছে বলে ওই সূত্র জানিয়েছে।