The news is by your side.

প্রয়োজনে দিনের বেলা বিদ্যুৎ ব্যবহার বন্ধ করে দিতে হবে: তৌফিক-ই-ইলাহী

0 140

দেশের কৃষি ও শিল্প খাতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। এই দুই খাতের সুরক্ষা দিতে যা যা দরকার হয়, সরকার তা করবে। এ জন্য প্রয়োজনে দিনের বেলায় বিদ্যুতের ব্যবহার বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ-বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।

রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই) আয়োজিত শিল্পে জ্বালানি সংকট সমাধান শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী এসব কথা বলেন।

জ্বালানি উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমরা এখন এলএনজি আনছি না। ভোলাতে আমাদের কিছু গ্যাস আছে। দুই-তিন মাসের মধ্যে আমরা সেটা নিয়ে আসার চেষ্টা করবো। তবে সরকার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিকে যাচ্ছে। আশা করছি জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে এক হাজার মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ পাব আমরা। আরও এক হাজার মেগাওয়াট সোলার প্যানেলের মাধ্যমে উৎপাদন করবো। তখন সমস্যা অনেকটা সমাধান হবে।’

ব্যবসায়ীদের কথা শুনে বিভিন্ন জায়গায় গ্যাসের ব্যবহার কমিয়ে শিল্প খাতে সরবরাহ বাড়ানোর পরিকল্পনার কথা জানান তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমদানির সুযোগ যেহেতু কম, সেহেতু দেশের মধ্যে গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে হলে কাউকে না কাউকে ব্যবহার কমাতে হবে। বিদ্যুতে গ্যাস সরবরাহ কমানো হলে লোডশেডিং বাড়বে। কিন্তু আমরা অঙ্ক করে দেখেছি, শিল্পে গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে হলে সরবরাহ কমানোর খাত হিসেবে বিদ্যুৎ খাত হবে উত্তম জায়গা।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজকে যদি আমরা গ্যাস বাঁচাতে চাই তাহলে দেশে লোডশেডিং বাড়বে। একসময় দেশের সব জায়গায় বিদ্যুৎ ছিল না। আমরা চাইলে এসি বন্ধ রেখে বিদ্যুৎ ব্যবহার কমাতে পারি। সারা দেশে যে পরিমাণ এসি চলে, তাতেই ৫ থেকে ৬ হাজার মেগাওয়াট চাহিদা আছে।’

তৌফিক-ই-এলাহী বলেন, ‘যুদ্ধের সময় তো আমাদের কিছুই ছিল না। তখন আমরা চলেছি। এখনও পারব। আমরা শপথ নেব, দরকার হলে দিনের বেলায় কোনো বিদ্যুৎ ব্যবহার করবো না।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন, বিটিএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসাইনসহ আরও অনেকে।

 

 

 

 

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.