The news is by your side.

প্রধানমন্ত্রীর কাছে ছেলে হত্যার বিচার চাইলেন বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিনের বাবা

0 123

 

‘শত্রুতার কারণে আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। ওর লাশের সঙ্গে মানিব্যাগ, ব্লুটুথ, অকেজো মোবাইল, ঘড়ি সবই পাওয়া গেছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই। তিনিও সন্তানের মা, তিনি বোঝেন, সন্তান হারালে কীভাবে একটা পরিবারের ভবিষ্যৎ স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়। মেধাবী ছাত্রদের এভাবে মেরে ফেললে দেশের ভবিষ্যত কি দাঁড়াবে? ২৫ বছর ধরে তিলে তিলে গড়ে তোলা স্বপ্ন আমার, আজ হত্যাকাণ্ডের শিকার’।

ছেলেকে হারিয়ে এভাবেই নিজের কষ্টের কথা জানান বুয়েটের ছাত্র ফারদিন নূর পরশের বাবা কাজী নূর উদ্দিন রানা। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ছেলের লাশ নিয়ে বুয়েটের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার আগে তিনি এসব কথা বলেন।

পরশের বাবা বলেন, ‘গত শুক্রবার রাতে নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে ছেলেকে খোঁজাখুঁজি শুরু করি। এরপর শনিবার রামপুরা থানায় জিডি করি, পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছিল।’

তিনি বলেন, ‘গত শনিবার ছেলের টার্ম পরীক্ষা ছিল বুয়েটে। সেজন্য সে শুক্রবার দুপুরে বাসা থেকে বের হয়েছিল। ওইদিন রাত ১১টার পর থেকে ছেলের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। শনিবার সে যখন পরীক্ষায় অংশ নেয়নি তখন ছেলের বন্ধু ও শিক্ষকরা বাসায় ফোন দেন। তারপর থেকে আমরা ছেলেকে খোঁজাখুজি শুরু করলাম। না পেয়ে থানায় নিখোঁজের জিডি করলাম। পরে জানতে পারলাম-গত শুক্রবার রামপুরা থানা এলাকায় পরশ তার এক বান্ধবীকে নামিয়ে দিয়ে এসেছে। আমার ছেলে কোনো রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল না।’

পরশকে নিয়ে বাবা নূর উদ্দিন আরও বলেন, ‘পরশ রুটিন ধরে পড়াশোনা করত, পড়ালেখায় অনেক মনযোগী ছিল। সে বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ তিন জায়গায় ভর্তির সুযোগ পেয়েছিল। পরে সে বুয়েটে ভর্তি হয়, কিন্তু হলে যায়নি। এর কিছুদিন পর আবরাব হত্যাকাণ্ড ঘটে। এরপর ছেলে আর হলে যেতে চায়নি, আমরাও যেতে বলিনি। বাসা থেকে লেখাপড়া করত এবং বুয়েটের ক্যাম্পাসে যেত। খুব প্রয়োজন হলে বুয়েটের হলে থাকতো পরশ। যে ভয়ে ছেলেকে বুয়েটের হলে আমরাও যেতে বলিনি আজ সেটাই সত্যি হলো।’

নূর উদ্দিন বলেন, ‘এভাবে যদি আমরা এক একটা মেধাবী ছাত্র হারাতে থাকি, তাহলে ভবিষ্যৎ কি হবে?’

পরশের বাবা বলেন, ‘কিছুদিন পরে স্পেনের একটা আন্তর্জাতিক বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল পরশের। এজন্য নতুন এনআইডি কার্ড, পাসপোর্ট করা হয়েছে। কিন্তু তার আগেই পরশ হত্যার শিকার হলো।’

নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) শেখ ফরহাদ বলেন, পরশের পুরো মাথা ও বুকে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। সেগুলোর কোনোটাই সামান্য আঘাত নয়। তার ভিসেরা পাঠিয়েছি, অন্যান্য তথ্য ২-৩ দিন পর আসলে বলতে পারবো সে কীভাবে মারা গেছে। প্রাথমিকভাবে বলবো, অবশ্যই এটা হত্যাকাণ্ড।

Leave A Reply

Your email address will not be published.