নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এক প্রতীকে ভোট দিলে অন্য প্রতীকে চলে যায়, সেটা কেউ প্রমাণ দিতে পারেনি। আমরা প্রমাণ দিতে আহ্বান করেছি। যদি প্রমাণ করা যায়, তাহলে দেড়শ আসনে ইভিএমে ভোট নাও হতে পারে ।
রবিবার খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি ইউনিয়ন পরিষদে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রিফিংকালে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা এ কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা বর্তমান কমিশনের প্রধান লক্ষ্য। তবে কেউ নির্বাচনে আসা বা না আসা এবং ভোট দান করা বা বিরত থাকা এটি তার অধিকার। তবে এই নির্বাচন কমিশন সকল রাজনৈতিক দলকে নিয়ে নির্বাচন করতে আগ্রহী।
তিনি আরো বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে একটি নির্ভুল ভোটার তালিকার বিকল্প নেই। নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতাও এর ওপর অনেকাংশে নির্ভর করে। ভোটের প্রাণ হলো প্রার্থী ও ভোটার। প্রতি বছর অনেকেই ভোটার হওয়ার উপযুক্ত হয়। প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে তাদেরকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে উৎসাহিত করতে হবে। তারা যেন নিজেদের তথ্য নিজেরাই পর্যবেক্ষণ করতে পারে তার জন্য এ কাজে নিয়োজিতদের তিনি নিদের্শনা প্রদান করেন।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসার মো. হুমায়ুন কবীর, সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার এম. মাজহারুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুবুল আলম, সেনহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়া গাজী, উপজেলা নির্বাচন অফিসার সৌমেন বিশ্বাস ছন্দ প্রমুখ ।
পরে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা ১০ জন নতুন ভোটারের হাতে জাতীয় পরিচয়পত্র তুলে দেন।