রাশিয়ার কাছে মিয়ানমারের অস্ত্র বাজার হারিয়ে ফেলতে পারে চীন। ফলে ক্ষমতাসীন জান্তাকে প্রধান প্রতিরক্ষা সরবরাহ করতে চীন পাকিস্তানকে চাপ দিচ্ছে।
সম্প্রতি অভ্যুত্থান নেতা সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং জেট ফাইটার, হেলিকপ্টার ও ক্ষেপণাস্ত্রের কেনাকাটার তালিকা নিয়ে রাশিয়ায় নিয়মিত সফর করছেন। চীন উদ্বিগ্ন যে তারা তাদের অস্ত্রের গ্রাহক হিসেবে মিয়ানমারকে হারিয়ে ফেলবে। তবে নিষেধাজ্ঞার ভয়ে মিয়ানমারের কাছে সরাসরি অস্ত্র বিক্রি করতে পারছে না বলে জানিয়েছে বিশেষজ্ঞরা।
মিয়ানমার জান্তা চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখলেও, জান্তা সামরিক বাহিনী প্রতিরক্ষার উন্নয়নে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক আরও ভালো করতে চাচ্ছে। রাশিয়া মিয়ানমারে প্রতিরক্ষা সরঞ্জামগুলোর অন্যতম প্রধান রপ্তানিকারক। বর্তমান সরকার সেই অংশীদারিত্বকে প্রসারিত করার দিকে মনোনিবেশ করছে।
চীনের সমর্থনে, পাকিস্তান মিয়ানমারের কাছে ভারী মেশিনগান, ৬০ এবং ৮১ মিলিমিটার মর্টার এবং এম-৭৯ গ্রেনেড লঞ্চার বিক্রি করার কথা বিবেচনা করছে বলে জানা গেছে।
পাকিস্তান মিয়ানমারকে জেএফ-১৭ ফাইটার রক্ষণাবেক্ষণে সাহায্য করছে এবং মিসাইল রপ্তানির পরিকল্পনা করছে। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী পাকিস্তানের সঙ্গে তার সম্পর্ক প্রসারিত করতে চাচ্ছে। তাদের জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমানের জন্য পাকিস্তানের কাছ থেকে এয়ার টু সারফেস মিসাইল কেনার দিকে নজর দিচ্ছে।