কত আয় পর্ন ছবির দুনিয়া থেকে? বেশির ভাগ পর্ন ছবিই উল্লেখযোগ্য ভাবে ব্যবসা করে। কারণ মানুষ নতুন নতুন পর্ন দেখতে পছন্দ করেন।
করোনা অতিমারি আবহ এবং তৎপরবর্তী সময়ে পর্ন ছবির জগৎ প্রচুর লাভের মুখ দেখেছে। ‘বেডবিবল’ ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে পর্ন শিল্প থেকে বিশ্বব্যাপী বার্ষিক আয় প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৮ লক্ষ ২৪ হাজার ৭৫৫ কোটি টাকা)।
যার মধ্যে শুধু সমাজমাধ্যম থেকেই আয় ৮৫ শতাংশ। অর্থাৎ, ৭ লক্ষ কোটি টাকার বেশি। বাকি টাকা আসে পত্রিকা এবং ডিভিডি বিক্রি করে।
বিশ্বব্যাপী মোট আয়ের মধ্যে আমেরিকা থেকে পর্ন শিল্পের বার্ষিক আয় ১ লক্ষ কোটিরও বেশি।
পর্ন ছবি বানানোর খরচের তুলনায় লাভ অনেক বেশি। আর সেই কারণেই নীল ছবির দুনিয়ার রমরমাও এত বেশি বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
গত এক দশকে সেই হিসাব বদলে গিয়েছে। এখন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে নীল ছবি দেখার প্রবণতা বেড়েছে। আর এর কারণ হিসাবে আধুনিক মোবাইল ফোন, সমাজমাধ্যমের প্রসার এবং উন্নতমানের নেট পরিষেবাকেই ঠাওরেছেন বিশেষজ্ঞরা।
‘বেডবিবল’ ওয়েবসাইটের সমীক্ষা অনুযায়ী, গত দু’দশকে পর্ন শিল্পের আয় বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ।
কোভিড-১৯ চলাকালীন প্রতিটি নীল ছবির ওয়েবসাইটের গড় আয় ২৫ থেকে ৪০ শতাংশ বেড়েছে। কোভিড আবহে পর্ন শিল্পের চাহিদা আকাশছোঁয়া হওয়ার কারণে বেড়েছে আদরপুতুলের (সেক্স টয়) বিক্রিও।
অতিমারির সময় লকডাউনের কারণে দীর্ঘ সময়ের জন্য বিশ্বের বহু মানুষ গৃহবন্দি হয়ে পড়েছিলেন। আর সেই সময় একাকিত্ব কাটানোর উপায় হিসাবে অনেক মানুষই পর্ননির্ভর হয়ে পড়েছিলেন। আর তাতেই পর্নের বাহুল্য গত কয়েক বছরে বেড়েছে বলে বিশেষজ্ঞদের দাবি।
বিভিন্ন ভাবে আয় আসে পর্ন ওয়েবসাইটগুলির ঘরে। যার মধ্যে প্রথমেই রয়েছে, ব্যানার বিজ্ঞাপন। ওয়েবসাইটের পেজে উপরে বা নীচে যাওয়ার সময় এই বড় বিজ্ঞাপনগুলি দেখতে পাওয়া যায়।
জনপ্রিয় পর্নগুলির সঙ্গে অন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট লিঙ্ক করা থাকে, যাতে ব্যবহারকারীরা পর্নের লিঙ্কে ক্লিক করে ওই ওয়েবসাইটগুলিতে চলে যান। সেই লিঙ্ক করা ওয়েবসাইটের থেকেও ভাল আয় করে পর্ন ওয়েবসাইটগুলি।
সাবস্ক্রিপশনের মাধ্যমে পর্ন সাইটগুলি বেশ অর্থ উপার্জন করে। পাশাপাশি অনলাইন পর্ন গেম এবং মডেলদের ‘দুষ্টু’ কার্যকলাপের লাইভ ভিডিয়োর মাধ্যমেও কোটি কোটি টাকা আয় করে ওয়েবসাইটগুলি।
পর্ন ছবির জন্য থাকা বিভিন্ন জনপ্রিয় ওয়েবসাইটগুলি প্রধানত চারটি সংস্থার আওতায় রয়েছে। এই চারটি সংস্থা হল, ‘মাইন্ডগিক’, ‘ল্যারি ফ্লিন্ট পাবলিকেশন’, ‘ডব্লুডিসিজ়েড’ এবং ‘হ্যামি মিডিয়া লিমিটেড’।