পর্ন তারকার সঙ্গে প্রেম! হ্যাঁ, প্রেম হয় তো করা যায়, কিন্তু সংসার! স্বামী পর্ন তারকা— এটা জেনেও সারা জীবনের জন্য তাঁর হাত ধরার মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া নেহাত সহজ কাজ নয়। তবে এমনটাই করে দেখিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ক্যুইন্সল্যান্ডের এক তরুণী।
তাঁর নাম ক্যাটি স্কিটস জোনস। যাঁকে বিয়ে করেছেন তিনি পর্ন তারকা রব ব্যাম্পটন। নীল ছবির দুনিয়ায় অবাধ বিচরণ রবের। সেই রবই কিনা জীবনে থিতু হতে এমন এক তরুণীর হাত ধরেছেন, যিনি কখনও ভাবেননই যে, কোনও পর্ন তারকাকে তিনি জীবনসঙ্গী হিসাবে বেছে নেবেন।
আলাপের মাত্র ৬ সপ্তাহের মধ্যেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ২৯ বছরের ক্যাটি ও ৩৭ বছরের রব। স্বামীর পেশা নিয়ে একেবারেই বিচলিত নন ক্যাটি। পরস্ত্রীর সঙ্গে নীল ছবির দুনিয়ায় রবকে হামেশাই দেখা যায়। তবে এ নিয়ে তাঁদের অন্দরমহলে কখনই অশান্তি হয় না। স্বামীর পেশাকে বরং সম্মানের চোখেই দেখেন ক্যাটি।
আলাপের ৬ সপ্তাহের মাথায় ক্যাটিকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন রব। ‘হ্যাঁ’ বলতে একদমই দেরি করেননি ক্যাটি। প্রেম নিবেদনের ৪ সপ্তাহের মাথায় পালিয়ে বিয়ে করেন এই যুগল।
পর্ন তারকাকে বিয়ে! এ নিয়ে তথাকথিত সমাজ কত কথাই না শোনাবে! কিন্তু ভালবাসা বোধ হয় সবকিছুরই ঊর্ধ্বে। আর তাই তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে কে কী বলবেন, এ নিয়ে কখনওই মাথা ঘামাননি ক্যাটি। আর চার-পাঁচ জন তরুণ-তরুণীর মতোই বিয়ে নিয়ে একরাশ স্বপ্ন দেখেছিলেন ক্যাটি ও রব। বিয়ের আগে শপিংও সেরেছিলেন তাঁরা।
নিজেদের প্রেমকাহিনি প্রসঙ্গে ক্যাটি বলেছেন, ‘‘প্রতিটি সম্পর্কই আলাদা হয়। রবকে আমি সম্মান করি। আমি জানি ওর পেশা কী। ওকে কী করতে হয়। কিন্তু ও কখনই ঠকায় না।’’ আসলে ক্যাট ও রব যেন একে অপরের পরিপূরক।
জুটিতে দু’টিতে ভালই সংসার চলছিল ক্যাটি ও রবের। কিন্তু সুখী দাম্পত্য জীবনের একঘেয়েমিতে হাতছানি দিচ্ছিল অন্য রোমাঞ্চ। তাই এক তৃতীয় মানুষের খোঁজ শুরু করলেন তাঁরা। যেন ‘পতি, পত্নী অউর ওহ’।
রব ও ক্যাটি দু’জনেই চেয়েছিলেন, তাঁদের সম্পর্কের মধ্যে কোনও এক তৃতীয় ব্যক্তি আসুক। যৌনজীবনে সেই রোমাঞ্চকে উস্কে দিতে তাই তৃতীয় এক নারীকে নিজেদের ঘরে আনলেন রব ও ক্যাটি। তাঁর নাম মদিনা।
যৌনজীবনে বাড়তি উদ্দীপনার রসদ জোগাতে মদিনাই এখন ভরসা রব ও ক্যাটির অন্দরমহলে। এই ত্রয়ী এখন নিজেদের মতো করে ফুরফুরে জীবন উপভোগ করছেন। তিন জনই একে অপরকে পছন্দ করেন। আর তার জেরেই বোধ হয় এই ত্রয়ীর বন্ধন আরও নিবিড় হয়েছে।