The news is by your side.

নেইমারকে ছাড়াই সুইসদের হারিয়ে শেষ ষোলোয় ব্রাজিল

0 107

 

ইনজুরির কারণে মাঠে নামা হয়নি নেইমারের। ব্রাজিলিয়ান এই সুপারস্টার ছাড়া কিছুতেই সুইজারল্যান্ডের গোলখরা কাটাতে পারছিলেন না ভিনিসিয়ুস-রিচার্লিসনরা। তৈরি করেছেন বেশ কয়েকটি দারুণ আক্রমণও। সুইজারল্যান্ডের জমাট রক্ষণদেয়াল ভেঙে বিরতির পর গিয়ে ডেডলক ভাঙেন ভিনিসিয়ুস; যদিও অফসাইডের কারণে তা বাতিল হয়। শেষ পর্যন্ত ত্রাতা হয়ে দলকে বাঁচালেন মিডফিল্ডার ক্যাসিমিরো। তারই একমাত্র লক্ষ্যভেদে ব্রাজিল টানা দ্বিতীয় জয়ে বিশ্বকাপে নক আউট পর্ব নিশ্চিত করেছে।

সোমবার রাতে কাতার বিশ্বকাপের ‘জি’ গ্রুপের ম্যাচে স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে জয় পায় ব্রাজিল। প্রথমার্ধে গোলশূন্য ড্র নিয়ে বিরতিতে যাওয়া ব্রাজিল চমক দেখিয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে। শেষমুহূর্তে জয়সূচক সেই গোলটি আসে কাসেমিরোর পা থেকে।

প্রথম ম্যাচে সার্বিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় পাওয়া ব্রাজিল দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে ৬ পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপের নকআউট পর্ব নিশ্চিত করেছে। অপরদিকে প্রথম ম্যাচ জিতে ৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে অবস্থান সুইজারল্যান্ড। পরবর্তী পর্ব নিশ্চিত করতে সার্বিয়ার বিপক্ষে জিততে হবে তাদের।

ম্যাচের শুরু থেকেই সুইজারল্যান্ডকে চেপে ধরে ব্রাজিল। একের পর এক আক্রমণে দলটির রক্ষণের পরীক্ষা নেই সেলেসাওরা। তবে রক্ষণে দেয়াল তুলে রাখা সুইসরা বক্সেই বল নিতে দিচ্ছিল না ভিনিসিয়ুস-রিচার্লিসনদের। দ্বাদশ মিনিটে সুন্দর সুযোগ পায় তারা। পাকুয়েতা থেকে পাওয়া পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ভিনিসিয়ুসকে বাড়ান রিচার্লিসন। রিয়াল মাদ্রিদের এই ফরোয়ার্ডের শট ঠেকিয়ে দেন প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার।

১৯তম মিনিটে আবারও সুযোগ পায় ব্রাজিল। চারজন সুইস প্লেয়ারকে ড্রিবল করে বল বক্সে নিয়ে পাকুয়েতাকে বাড়ান ভিনিসিয়ুস। ওয়েস্ট হ্যামের এই মিডফিল্ডারের ক্রস শট নেন রিচার্লিসন। তবে তা ঠেকিয়ে দেন এলভেদি। ২৭তম মিনিটে বক্স থেকে নেওয়া ভিনিসিয়ুসের দারুণ শট ঠেকিয়ে দেন ইয়ান সোমার। ৩৯তম মিনিটে দারুণ সুযোগ পায় সুইজারল্যান্ড। বাঁ দিক থেকে রদ্রিগেজের ক্রস পান ভার্গাস। মার্কিনিয়োসকে কাটিয়ে তিনি বক্সে প্রবেশ করলেও সিলভাকে এড়িয়ে যেতে পারেননি।

গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর বিরতিতে নেমে আগের মতোই আক্রমণ করতে থাকে ব্রাজিল। তবে সুইজারল্যান্ড নিজেদের রক্ষণ আগের মতোই জমাট করে রাখে। ৫৭তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত সেলেসাওরা। ভিনিসিউসের দেওয়া ক্রস প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের সামনে থেকেও স্পর্শ করতে পারেননি রিচার্লিসন। ৬৬তম মিনিটে কাসেমিরোর পাস থেকে বল মাঝমাঠ থেকে টেনে নিয়ে জালে পাঠান ভিনিসিউস।

কিছুক্ষণ পরেই ভিনিসিয়ুসের সেই গোল অফসাইড দেখিয়ে বাতিল করে ভিএআর। নতুন প্রযুক্তিতে দেখা যায় রিচার্লিসন অফসাইডে ছিলেন। হতাশায় থাকা ব্রাজিল অবশ্য আত্মবিশ্বাস হারায়নি। ৮৩তম মিনিটে দলকে এগিয়ে নেন কাসিমেরো। ভিনিসিয়ুসের পা থেকে যাওয়া বল বক্সে কাসিমেরোকে বাড়ান রদ্রিগো। দারুণ এক ভলিতে জাল খুঁজে নেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড মিডফিল্ডার। এই গোলেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তিতের শিষ্যরা।

নিজেদের পরবর্তী ও গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে আগামী ২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় ক্যামেরুনের মুখোমুখি হবে ব্রাজিল।

Leave A Reply

Your email address will not be published.