The news is by your side.

নির্মাণাধীন ভাস্কর্যের কাজ চলবে, ভাস্কর্য হবেই: ওবায়দুল কাদের

0 331

 

 

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যের ওপর হামলার ধৃষ্টতা যারা দেখিয়েছে, তাদের চরম মূল্য দিতে হবে।

ওবায়দুল কাদের আজ সোমবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সম্মেলনকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ‘এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, উপযুক্ত প্রমাণ পেলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ধোলাইপাড়ে নির্মাণাধীন ভাস্কর্যের কাজ চলবে। ভাস্কর্য হবেই।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা যারা ঘটাবে, তা অবশ্যই সংবিধান ও রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল। কারণ, বঙ্গবন্ধু তো আমাদের জাতির পিতা। সৌদি আরব, কাতার, মিসর, ইরান, তুরস্ক, পাকিস্তানেও ভাস্কর্য আছে। ভাস্কর্য মুসলিম দেশগুলোতেও আছে।’

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, কুষ্টিয়ায় তারা যেটি করেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও মধুদার ভাস্কর্যের ওপর হামলা চালিয়েছে। এটা যারাই করবে এবং যারা এ ধৃষ্টতা দেখাবে, তাদের চরম মূল্য দিতে হবে।

সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে ধর্ম খুব স্পর্শকাতর। তাই হুট করে কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে উসকানিমূলক কিছু করে দেশে অস্থিতশীল অবস্থা তৈরি হোক, আমরা তা চাই না। রাজনৈতিকভাবে সংকটের সমাধান করতে চায় সরকার।’

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় একটি অরাজনৈতিক সংগঠন মামলা করেছে। এ বিষয়টি কীভাবে দেখছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু কোনো দলের নয়। তাই অরাজনৈতিক কোনো সংগঠনের মামলা করাটা ইতিবাচক।

হুকুমের আসামি হিসেবে নয়, উপযুক্ত প্রমাণ পেলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কেউ হুকুম দিয়েছে, এমন কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব। আমরা সরকারে আছি, ক্ষমতায় আছি। আমাদের ঠান্ডা মাথায় এগোতে হবে। কথায় কথায় মাথা গরম করলে চলবে না। বুঝেশুনে আমাদের পরিস্থিতিটা মোকাবিলা করতে হবে। কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গিয়ে অহেতুক দেশে অশান্তি-বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে চাই না।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি নিজেই দেখছেন। আমরা ভেবেচিন্তে যুক্তি দিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চাই।’

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তাদের সাক্ষাৎ দেবেন কি না, সেটি আমি জানি না। আলোচনার সুযোগ আছে কি না, সেটাও প্রধানমন্ত্রী দেখছেন। সব বিষয়ই সরকারপ্রধান যদি মনে করেন, তাহলে হতে পারে। তিনি যা সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটাই।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, শাপলা চত্বরে হেফাজতের ব্যানারে একটা আন্দোলন হয়েছিল। সেটা তো দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। মুসলিম দেশগুলোয় মাঝেমধ্যে এ ধরনের ধর্মীয় ইস্যু চলে আসে। এর পেছনে রাজনৈতিক কারণও আছে। তাঁরা এগুলো পর্যবেক্ষণ করছেন। এখন বাংলাদেশের সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ বিভিন্ন সংগঠন প্রতিবাদ করছে। কিছু কিছু বিষয় রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা উচিত।

হেফাজতের সঙ্গে সরকারের সম্পর্কের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাদের কওমি মাদ্রাসার ১৪ লাখ শিক্ষার্থী আছে। তারা মূলধারা থেকে দূরে আছে। তাদের শিক্ষাব্যবস্থার মূলধারায় আনার জন্য দাবিটাকে ন্যায়সম্মত মনে হয়েছে। সে জন্য তাদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। তার মানে এই নয়, তাদের সঙ্গে সমঝোতা করা হয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘হেফাজত কোনো রাজনৈতিক সংগঠন নয় যে তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক সমঝোতা করব।’

 

 

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.