নিজস্ব প্রতিবেদক
নির্বাচনের খেলা শেষ, এখন রাজনীতির খেলা হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরো মন্ত্রিসভা নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। দ্রব্যমূল্য শিগগির নিয়ন্ত্রণে আসবে।
শনিবার রাজধানীর ২৩বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ‘শান্তি ও গণতন্ত্র’ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের জানান, চীন, রাশিয়া ও ভারত বন্ধু হলেও আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছে। জনগণের কল্যাণে কাজ করবে। তিনি বলেন, গয়েশ্বর বাবু আজ পল্টনে হাজির হয়েছেন, কোথায় ছিলেন এতদিন। বলেছিলেন, আমরা অলিগলি খুঁজে পাব না। এখন গয়েশ্বর বাবু অলিগলি খুঁজে পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, দেখতে দেখতে ১৫ বছর। সামনে আছে আরও পাঁচ বছর। কবে হবে আন্দোলন। রোজার পর না ঈদের পর। মানুষ বাঁচে আর কয় বছর। এই আন্দোলন মানুষ মানে না। হরতাল ডাকে, অবরোধ ডাকে মানুষ আসে না। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভোটে নির্বাচিত সরকার। তারা কালো পতাকা মিছিল করে। কালো পতাকা মানে কী, শোকের মিছিল। কালো পতাকা ভুয়া। বিএনপির নেতাকর্মীরা হতাশ, তারা আর তারেকের ফরমায়েশি কথায় কান দেয় না। তিনি বলেন, খেলা একটা হয়ে গেছে। নির্বাচনের খেলা শেষ। এখন খেলা হবে রাজনীতির। এখন খেলা হবে আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনের খেলা শেষ, এখন খেলা রাজনীতির। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধেও খেলা হবে। খেলা হবে হরতাল ও আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে।
৩০ তারিখ আবার কালো পতাকা মিছিল। সে দিন আপনারা লাল-সবুজের পতাকা নিয়ে গণতন্ত্র, শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করবেন। তিনি বলেন, কোথায় অক্টোবরের ২৮ তারিখ? সময় ঠিক এরকম। কোথায় ছিলেন এতদিন গয়েশ্বর? বলেছিলেন, অলিগলি খুঁজে পাবো না, কে পালিয়েছে? অলিগলি খুঁজে পাননি। এক দোকানে গিয়ে বলছেন, আওয়ামী লীগের গুন্ডারা আমাকে খুঁজছে। সেই দোকানদার বলে আমিও আওয়ামী লীগ। যাবে কোথায়? দেখতে দেখতে ১৫ বছর। সামনে আরও ৫ বছর। মানুষ বাঁচে কয় পছর? কবে হবে আন্দোলন? রোজার আগে না রোজার পর?
বিএনপিকে ভুয়া দল এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিএনপি আবার মাঠে নেমেছে। আন্দোলন করে তারা ভুয়া হয়ে গেছে। এই আন্দোলনে পাবলিক সাড়া দেয় না। অবরোধ ডাকে কেউ শুনে না, হরতালে রাস্তায় যানজট। বিএনপির অবরোধ, হরতাল ভুয়া। বিএনপি মানেই হচ্ছে ভুয়া। তিনি বলেন, বিদেশিদের ভয় দেখান? ৪১.৮ শতাংশ লোকের ভোটারের ভোটে সরকার গঠিত হয়েছে। এই সরকার জনগণের সরকার, নির্বাচিত সরকার। যেখানে ২৮ দল অংশ নিয়েছে। চীন বা রাশিয়া আমাদের বন্ধু হতে পারে। তবে আমাদের বিদেশি শক্তি ক্ষমতায় বসায়নি। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। বিএনপি শোকের মিছিল করছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, কালো পতাকা মানে কি? শোক মিছিল। ৩০ তারিখে আবার কালো পতাকা মিছিল ডাকছে। সেটাও ভুয়া। লোকজন নেই, জনগণ নেই, নেতাকর্মীরাও হতাশ। নেতাকর্মীরা এখন আর তারেকের ফরমায়েশে কান দেয় না।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী’র সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, ডা.মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, এডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ও মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুজ্জামান শিখর সহ অনেকে। শান্তি ও গণতন্ত্র সমাবেশ পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিনের দপ্তর সম্পাদক মো: রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ।