দক্ষিণ ভারতের সবচেয়ে আবেদনময়ী নায়িকা হয়ে উঠলেন রশ্মিকা মন্দানা
কন্নড় চলচ্চিত্র শিল্পে তিনি 'কর্ণাটক ক্রাশ' নামে পরিচিত
কন্নড় চলচ্চিত্র শিল্পে তিনি ‘কর্ণাটক ক্রাশ’ নামে পরিচিত। খুবই স্বল্পসংখ্যক অভিনেত্রীর মধ্যে রশ্মিকা অন্যতম, যিনি অল্প সময়ের মাঝে কোন চলচ্চিত্রে ১ বিলিয়ন রুপি আয় করেছিলেন।তেলুগু এবং কন্নড় চলচ্চিত্র শিল্পে তিনি অন্যতম জনপ্রিয় এবং সর্বাধিক বেতনের একজন অভিনেত্রী।
রশ্মিকা মন্দানা কর্ণাটকের কোড়গু জেলার একটি শহর বিরাজপেটে ১৯৯৬ সালের ৫ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেছিলেন। মহীশূর বাণিজ্য ও কলা ইনস্টিটিউট-এ প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় কোর্স করার আগে তিনি কোড়গু পাবলিক স্কুল (সিওপিএস), কোড়গুতে পড়াশোনা করেছিলেন। তিনি এমএস রামাইয়া কলা, বিজ্ঞান ও বাণিজ্য কলেজ থেকে মনোবিজ্ঞান, সাংবাদিকতা এবং ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন।
রশ্মিকা ২০১২ সালে মডেলিং শুরু করেছিলেন। একই বছর তিনি ক্লিন অ্যান্ড ক্লিয়ার ফ্রেশ ফেস অব ইন্ডিয়া খেতাব অর্জন করেছিলেন এবং ক্লিন অ্যান্ড ক্লিয়ার এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে যুক্ত হয়েছিলেন। তারপরে লামোডে বেঙ্গালুরুর টপ মডেল হান্টে ২০১৩-তে তিনি টিভিসির খেতাব অর্জন করেছিলেন। প্রতিযোগিতায় তার চিত্রগুলি কিরিক পার্টি-এর নির্মাতাদের মুগ্ধ করেছিল, ফলস্বরূপ ২০১৪ সালের প্রথম দিকে চলচ্চিত্রটিতে রশ্মিকা অভিনেত্রীর ভূমিকা পালন করেছিলেন।
রশ্মিকা ২০১৬ সালের কন্নড় চলচ্চিত্র কিরিক পার্টি-এর মাধ্যমে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। ২০১৭ সালে তিনি চমক এবং আঞ্জানী পুত্রা নামক দুটি বাণিজ্যিকভাবে সফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন।
২০১৮ সালের প্রণয়ধর্মী চলচ্চিত্র চলো দিয়ে তেলুগু চলচ্চিত্রে অভিষেক করেছিলেন। একই বছর তিনি গীতা গোবিন্দ-এ অভিনয় করেছিলেন, যা তেলুগু চলচ্চিত্রে সর্বাধিক মুনাফা অর্জনকারীদের তালিকায় স্থান করে নেয় এবং তিনি ব্যাপক পরিচিতি অর্জন করতে সক্ষম হন।
তৃতীয় তেলুগু প্রকল্পটি ছিল দেবদাস নামে একটি তারকাবহুল বড় বাজেটের চলচ্চিত্র।কন্নড় চলচ্চিত্র শিল্পে প্রথম হ্যাট্রিক-হিট করার পরে তেলুগু চলচ্চিত্র শিল্পেও একই বছরে পরপর তৃতীয় সফল চলচ্চিত্র হিসাবে এটি চিহ্নিত হয় এবং তেলুগু ও কন্নড় চলচ্চিত্রে মুখ্য অভিনেত্রী হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।
বাণিজ্যিকভাবে সফল চলচ্চিত্র : কিরিক পার্টি (২০১৬), আঞ্জানী পুত্রা (২০১৭), চমক (২০১৭), চলো (২০১৮), গীতা গোবিন্দ (২০১৮), যাজামানা (২০১৯), সারিলেরু নিকেভ্যারু (২০২০) এবং ভীষ্ম (২০২০)। চলচ্চিত্রে একের পর এক সাফল্য তাকে দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পে অন্যতম সর্বাধিক চাহিদাসম্পন্ন অভিনেত্রী হিসেবে গড়ে তুলেছে।
ব্যক্তিগত জীবন: রশ্মিকা অভিনেতা রক্ষিত শেঠির সাথে বাগদান করেছিলেন। তারা কিরিক পার্টি চলচ্চিত্রটি নির্মাণের সময় ডেটিং শুরু করেছিলেন এবং ২০১৭ সালের ৩ জুলাই রশ্মিকার নিজ শহর বিরাজপেটে একটি ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে তাদের বাগদান সম্পন্ন হয়েছিল।[২০] কিন্তু এই যুগল পারস্পরিকভাবে অসামঞ্জস্যতার বিষয়গুলি উল্লেখ করে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে তাদের সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল।