The news is by your side.

তীব্র ভাঙন, হুমকির মুখে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত

সৈকতের নান্দনিক সৌন্দর্য ধরে রাখতে তৎপর জেলা প্রশাসন

0 248

কক্সবাজার অফিস

সাগরের জোয়ারের পানিতে  ভাঙছে কক্সবাজার সৈকতের বালিয়াড়ি। হুমকির মুখে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনা। অস্বাভাবিক জোয়ার ও ঢেউয়ের তান্ডবে ভাঙন অব্যাহত থাকায় সৌন্দর্য হারাচ্ছে সমুদ্র সৈকত।

লঘুচাপের কারণে কক্সবাজারে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত।  স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে সমুদ্রের জোয়ারের পানি। সমুদ্রের বিশাল বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়ছে উপকূলে। যার আঘাতে ভাঙছে সৈকতের বালিয়াড়ি; উপড়ে পড়ছে শত শত ঝাউগাছ। হুমকির মুখে ট্যুরিস্ট পুলিশের ওয়াচ টাওয়ার, জেলা প্রশাসনের তথ্য ও অভিযোগ কেন্দ্রসহ নানা স্থাপনা।

স্থানীয় এক পর্যটন ব্যবসায়ী বলেন, ভাঙন শুরু হয়েছে গত পূর্ণিমার জোয়ার থেকে। সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ভেঙে যাচ্ছে। তীব্র পানির ঢেউতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে জিওব্যাগও।

সৈকতের লাবণী পয়েন্টে প্রতিদিনই ভিড় করতো হাজার হাজার পর্যটক। কিন্তু পয়েন্টটি গ্রাস করছে সমুদ্রের জোয়ারের পানি। ভাটায় ভেসে উঠছে তছনছ হওয়া দৃশ্য। সৌন্দর্য হারাচ্ছে চিরচেনা সৈকতের এই পয়েন্টটি। এক পর্যটক বলেন, বাচ্চাদের নিয়ে নামা যাচ্ছে না। ভয় করে। অনেক ভাঙা।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ওড়িষ্যা উপকূল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত স্থল নিম্নচাপটি পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে সুস্পষ্ট আকারে বর্তমানে ভারতের ছত্তীসসগঢ় ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরো উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য বিরাজ করছে। সমুদ্র বন্দরসমূহ, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সৈকতের লাবণী পয়েন্টে অবস্থিত ট্যুরিস্ট পুলিশের সেবা বক্সটি সমুদ্রের ঢেউয়ের ধাক্কায় ভেঙ্গে গেছে । ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘সাগর উত্তালের কারণে পানি কাছে চলে আসছে। ঢেউয়ের ধাক্কায় জিও ব্যাগের বালি বের হয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি জিও ব্যাগ ছিড়ে গেছে। ঢেউয়ের ধাক্কা এবং স্রোতের টান লেগে আমাদের ট্যুরিস্ট পুলিশের লাবণী পয়েন্টের সেবা বক্সটি সাগরে তলিয়ে গেছে। ট্যুরিস্ট পুলিশ পর্যটকদের পানিতে নামা থেকে বিরত রাখার চেষ্টায় মাইকিং ও সাইরেন বাজানো অব্যাহত রেখেছে। সমুদ্র শান্ত না হওয়া পর্যন্ত পর্যটকদের পানিতে নামতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।’

তবে জেলা প্রশাসক আশ্বাস দেন, ভাঙন প্রতিরোধসহ  সৈকতের সৌন্দর্য বর্ধনে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আমিন আল পারভেজন বলেন, ইতিপূর্বে জিও ব্যাগ ফেলে সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙন রোধে চেষ্টা করা হয়েছে। সেই কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। আমরা আশা করি সমুদ্র সৈকতে যে ভাঙন, সেটা রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.