ব্যাগ গুছিয়ে দেশের বিমান ধরাই কেবল বাকি ছিল পাকিস্তানের। দক্ষিণ আফ্রিকাকে বিদায় করে ওই পাকিস্তানের ‘মরা স্বপ্নে প্রাণ দিয়েছে’ নেদারল্যান্ডস। কুড়িয়ে পাওয়া সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছেন শাহিন আফ্রিদি, বাবার আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানরা। আসরের টপ ফেবারিট নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে পাকিস্তান উঠে গেছে টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে।
১৫৩ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে পাকিস্তান। মোহাম্মদ রিজওয়ানকে সঙ্গে নিয়ে ১২.৪ ওভারে ১০৫ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক বাবর আজম।
৩৮ বলে ফিফটি পূর্ণ করার পর ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারির কাছে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন বাবর। তার আগে ৪২ বলে ৫৩ রান করেন পাকিস্তানের এই অধিনায়ক।
বাবর আজম আউট হওয়ার পর মোহাম্মদ হারিসের সঙ্গে ২৬ বলে ২৭ রানের জুটি গড়েন রিজওয়ান। এই জুটিতেই ফিফটি পূর্ণ করেন তিনি। ফিফটির পর ৪৩ বলে ৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫৭ রান করে ফেরেন রিজওয়ান।
এরপর শান মাসুদকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান মোহাম্মদ হারিস। জয়ের জন্য শেষ দিকে ৭ বলে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল মাত্র ৩ রান। ১৯তম ওভারের শেষ বলে আউট হন হারিস। তার আগে ২৬ বলে দুই চার আর এক ছক্কায় করেন ৩০ রান।
শেষ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল মাত্র ২ রান। ওভারের প্রথম বলটি ওয়াইড দেন টিম সাউদি। পরের ডেলিভারিতে সিঙ্গেল নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করে পাকিস্তানকে ফাইনালে তুলে দেন শান মাসুদ।
এর আগে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন কিউই ওপেনার ফিন অ্যালেন। মাত্র ৪ রানেই সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটার। আরেক ওপেনার কনওয়ে কিছুটা আক্রমণাত্মক হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তবে পাওয়ার প্লে’র শেষ বলে দলীয় ৩৮ রানে রান-আউট হয়ে ফিরতে হয় তাকে। শাদাব খানের সরাসরি থ্রোয়ে সাজঘরে ফিরে আসার আগে ২০ বলে ২১ রান করেন এই ব্যাটার।
মোহাম্মদ নওয়াজের বলে তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে ৮ বলে মাত্র ৬ রান করে ফিরেন গ্লেন ফিলিপস। ফলে দলীয় পঞ্চাশ রানের আগেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে কিউইরা। এরপর ইনিংস মেরামতের কাজ সারেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ও মিডল-অর্ডার ব্যাটার ড্যারেল মিচেলে। তাদের ৫০ বলে ৬৮ রানের জুটিতে দলীয় ১০০ ছাড়ায় কিউইরা।
দলীয় ১১৭ রানে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন শাহিন শাহ আফ্রিদির দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন। বোল্ড হয়ে বিদায়ের আগে ৪২ বলে ৪৬ রান করেন এই ব্যাটার। তবে মিচেল শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে দলকে দেড়শ’ রানের কোটায় নিয়ে যান। তার ৩৫ বলে তিন বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ৫৩ রানে ভর করে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫২ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
বোলিংয়ে পাকিস্তানের পক্ষে শাহিন শাহ আফ্রিদি ২৪ রানে দুই উইকেট পেয়েছেন। এ ছাড়া মোহাম্মদ নওয়াজ একটি উইকেট নিয়েছেন।