জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে দুর্নীতি মামলায় ৮ ঘণ্টা জেরা
জিজ্ঞাসাবাদে জ্যাকলিনের উত্তরে খুব একটা সন্তুষ্ট নন ইডি
সুকেশ চন্দ্রশেখরের আর্থিক জালিয়াতি যেন পিছুই ছাড়ছে না বলিউড অভিনেতা জ্যাকলিনের। বুধবার সুকেশ কাণ্ডে প্রায় ৮ ঘণ্টা ধরে অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাল ইডি। জিজ্ঞাসাবাদে জ্যাকলিনের উত্তরে খুব একটা সন্তুষ্ট নন ইডি আধিকারিকরা। অভিনেত্রীর বয়ানে মিলেছে প্রচুর অসঙ্গতি।
গত বছরই অফ ক্যামেরায় শিরোনামে উঠে এসেছিলেন জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ । আর্থিক কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে জ্যাকলিনের সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আসে। ২০০ কোটি টাকার প্রতারণা এবং আরও ২০টি আর্থিক তছরুপের মামলায় নাম জড়ানোয় দিল্লির রোহিণী জেলে বন্দি ‘ঠগবাজ’ চন্দ্রশেখর। জ্যাকলিনের সঙ্গে সুকেশের এই অন্তরঙ্গ মুহূর্তের একটি ছবিও ছড়িয়ে পড়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
জ্যাকলিনের বিরুদ্ধে ২১৫ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপ মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। পরে আবার শোনা যায়, ২০০ কোটি টাকার আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে অভিনেত্রীকে সমন পাঠানো হয়েছিল।
এর আগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জ্যাকলিনের মতোই ডাক পাঠানো হয়েছিল নোরাকে । ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, বিলাসবহুল গাড়ি থেকে দামি হিরের গয়না কিংবা ব্যাগ উপহার দেওয়া হয়েছে ‘গরমি গার্ল’কে। তাহলে কি চন্দ্রশেখর ঘনিষ্ঠ ছিল নোরার? অভিনেত্রী অবশ্য জানিয়েছেন, এই মামলায় তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। এবং তিনি গত বছরের ডিসেম্বরের আগে চিনতেনও না চন্দ্রশেখরকে। উল্লেখ্য, উপহার পাওয়ার বিষয়টি এখন স্বীকার করলেও প্রথমে কিন্তু জ্যাকলিনের মতোই তথ্যটি চেপে গিয়েছিলেন নোরাও।
একটি ইভেন্টে অংশ নেওয়ার জন্য অভিনেত্রীকে বিএমডবলিউ গাড়ি উপহার দিয়েছিল চন্দ্রশেখর। তাঁর হাতে গাড়ির চাবি তুলে দিয়েছিল চন্দ্রশেখরের স্ত্রী লীনা মারিয়া পাল। চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে যে ২০০ কোটি টাকার তছরুপের মামলা রুজু হয়েছে সেখানে অন্যতম অভিযুক্ত তার স্ত্রীও।
নোরা জানিয়েছেন, ইভেন্টের আগে লীনা ও আরও কয়েকজন সকলের সামনে ঘোষণা করেন উপহারের কথা। সেই সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন নোরার অন ফ্লোর ম্য়ানেজার, মেকআপ আর্টিস্ট ও স্পট বয়রা। নোরা জানিয়েছেন, তিনি এমন উপহার পেয়ে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর এমনও মনে হয়েছিল, হয়তো গাড়িটি তাঁকে লোকদেখানো উপহার দেওয়া হচ্ছে। সত্যি সত্যি উপহার দেওয়া হবে না। আমি সকলের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, এটা স্বাভাবিক ব্যাপার কিনা। সবাই তাঁকে আশ্বস্ত করেন এটা হয়েই থাকে।