চীনে জার্মানির প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ রেকর্ড মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর এই বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ১১.৯ বিলিয়ন ইউরো। এবছর ৪.৩ শতাংশ বেড়ে তা ১২.৭ বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। এমনকী বিদেশেও জার্মানির সামগ্রিক বিনিয়োগের একটি অংশ হিসেবে তা বেড়েছে।
জার্মান ইকোনমিক ইনস্টিটিউটের (আইডব্লিউ) বিশ্লেষিত অফিসিয়াল উপাত্ত এমনটাই বলছে। এই তথ্য প্রকাশিত হওয়ার পর উদ্বেগ বেড়েছে জার্মানিতে। কারণ জার্মান সংস্থাগুলো তাদের এক্সপোজার কমানোর সরকারের অনুরোধ সত্ত্বেও চীনে প্রচুর বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছে।
আইডব্লিউ ইনস্টিটিউটের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, জার্মান কোম্পানিগুলো চীনে গত তিন বছরে আগের ছয় বছরের মতো বিনিয়োগ করেছে।
গত চার বছরে চীনে জার্মানির বিনিয়োগ সম্পূর্ণরূপে পুনঃবিনিয়োগকৃত মুনাফার মাধ্যমে অর্থায়ন করা হয়েছে এবং কোম্পানিগুলোও মূলধন প্রত্যাহার করেছে।
আইডব্লিউ অর্থনীতিবিদ জুর্গেন ম্যাথেস রিপোর্টে বলেছেন, ‘আমরা অনুমান করতে পারি যে কয়েকটি বড় কোম্পানি ও সংখ্যাগরিষ্ঠ ছোট এবং মাঝারি আকারের উদ্যোগের মধ্যে বিভাজন রয়ে গেছে। অন্যান্য গবেষণা ও উপাখ্যানমূলক প্রমাণ থিসিসকে সমর্থন করে যে, কিছু মাঝারি এবং ছোট আকারের ব্যবসা চীনের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা কমাতে এমনকী সম্পূর্ণভাবে বেরিয়ে আসতে চাইছে।
গত মাসে প্রকাশিত জার্মান চেম্বার অব কমার্স ইন চীনের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, গত চার বছরে জার্মান সংস্থাগুলোর চীনা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার অনুপাত বা তা করার কথা দ্বিগুণের ৯ শতাংশ বেশি বিবেচনা করা হয়েছে।
আইডব্লিউ রিপোর্টে বলা হয়েছে, সামগ্রিকভাবে জার্মানির প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ গত বছর কমে ১১৬ বিলিয়ন ইউরোতে নেমে এসেছে। ২০২২ সালে এর পরিমাণ ছিল প্রায় ১৭০ বিলিয়ন ইউরো। কারণ তখন ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটি মন্দার দ্বারপ্রান্তে ছিল।
বিদেশে জার্মানির সামগ্রিক বিনিয়োগের অংশ হিসেবে চীনে বিনিয়োগ গত বছর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০.৩ শতাংশ। এটি ২০১৪ সালের পর সর্বোচ্চ। আর এশিয়ার অন্য কোনো দেশে জার্মানির সরাসরি বিনিয়োগ ছিল প্রায় ৮ শতাংশ।
জার্মানি এখন দ্বিধার সম্মুখীন। যদিও দেশটি চীনের সঙ্গে এক্সপোজার কমাতে চায়, তবে প্রাথমিক পরিসংখ্যান অফিসের তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালে টানা অষ্টম বছরের জন্য জার্মানির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক অংশীদার ছিল চীন।