The news is by your side.

জাপানি শিশু নাকানো লাইলা বাবা-মায়ের কাছে একদিন করে থাকবে

0 131

জাপানি বংশোদ্ভুত দুই শিশুর মধ্যে ছোট শিশু নাকানো লাইলা লিনা পর্যায়ক্রমে বাবার কাছে একদিন ও মায়ের কাছে একদিন করে থাকবে বলে আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া পারিবারিক আদালতের রায় অনুসারে বড় মেয়ে মায়ের হেফাজতেই থাকবে।

বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ এ আদেশ প্রদান করেন। এদিন আদালতে নাকানো লাইলা লিনাকে হাজির করে গুলশান থানার এসআই মামুন মিয়া।

এ সময় মা নাকানো এরিকোর পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির ও বাবা ইমরান শরীফের পক্ষে আইনজীবী নুরুল ইসলাম মিলন লিনাকে তাদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করেন। এসময় লিনা স্বেচ্ছায় বিচারকের সঙ্গে কথা বলতে চান। এরপর বিচারক খাস কামরায় লিনার কথা শোনেন। আদেশের আগে বিচারক বলেন, লিনার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। সে বাবার কাছে থাকতে চায়, নাহয় ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে যেতে চায়। সে মায়ের সঙ্গে জাপানে যেতে চায়নি। তবে বলেনি যে, মায়ের কাছে থাকবে না।

পরবর্তীতে দুপুর ২টায় উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পারিবারিক আপিল শুনানি পর্যন্ত লায়লা লিনা পর্যায়ক্রমে একদিন তার বাবা ও আরেকদিন তার মায়ের হেফাজতে থাকবেন বলে আদেশ দেন।

আদালত আদেশে বলেন, ছোট মেয়ে নাকানো লাইলা লিনা আজ থেকে আগামীকাল সকাল ১১টা পর্যন্ত বাবার কাছে থাকবে। সকাল ১১টার পর সে মায়ের জিম্মায় থাকবে। বাবা ও মায়ের কাছে একদিন পর একদিন এভাবে থাকবে। আর বাবা ও মায়ের হেফাজত পরিবর্তন করবে গুলশান থানা-পুলিশ। আদালত গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে তদারকের নির্দেশ দেন। আদালত আদেশে আরও বলেন, মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শিশুদের নিয়ে দেশের বাইরে যাওয়া যাবে না। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী চলতে হবে বাবা-মাকে।

 

এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক দুরদানা রহমান বাবা ইমরান শরীফের করা মামলা খারিজ করে জাপানি দুই শিশুকে মায়ের জিম্মায় প্রদানের আদেশ দেন। এদিকে রায়ের বিরুদ্ধে ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার জেলা জজ আদালতে পারিবারিক আপিল করেন বাদী ইমরান শরিফ। আপিল শুনানির জন্য আদালত আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.