The news is by your side.

জাতীয় পার্টিকে বিশ্বাস করা যায় না: প্রধানমন্ত্রী

0 98

 

জাতীয় পার্টিকে বিশ্বাস করা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমনকি জাতীয় পার্টি আগামী নির্বাচন থেকে সরে যেতে পারে বলেও তিনি মনে করছেন।

এদিকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর মধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাদের নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য কয়েকজন মন্ত্রীর প্রস্তাব সরাসরি নাকচ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নিয়ে নির্বাচন করার নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রিসভার সদস্যদের।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই মন্ত্রী আজ মঙ্গলবার একটি জাতীয় পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এই দুই মন্ত্রী গতকালের মন্ত্রিসভার বৈঠকে ছিলেন।

দুই মন্ত্রী বলেছেন, মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের বেশ কিছু পরামর্শ দেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে নিয়ে কিছুটা বিরক্তি প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা। জাতীয় পার্টির মনোনয়ন না পেয়ে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, রংপুর-১ আসনের এমপি মসিউর রহমান রাঙ্গা এবং রংপুর-৩ আসনের এমপি রাহগীর আল মাহি সাদ এরশাদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে মন্ত্রিসভার বৈঠকে। এ সময় বলা হয়, জি এম কাদেরের নেতিবাচক মনোভাবের কারণেই তারা জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পাননি।

ওই দুই মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির অংশগ্রহণ নিয়ে কয়েকজন মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তাঁরা আওয়ামী লীগের ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থীদের বিষয়েও কথা বলেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে যেতে ব্যবস্থা নিতেও তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।

মন্ত্রীদের অনুরোধ নাকচ করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় পার্টি আগামী নির্বাচনে কী করবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। শেখ হাসিনা আরও বলেন, জাতীয় পার্টি রওশন এরশাদ, তাঁর ছেলে রাহগির আল মাহি এরশাদ (শাদ এরশাদ) ও মসিউর রহমানকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে রেখেছে। তারা কখন কী করবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ একাধিক নেতার সঙ্গে ১৪ দলের শরিক দলগুলোর বৈঠক হয়। সেখানেও ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থীদের প্রত্যাহারের বিষয়টি ওঠে। তবে আওয়ামী লীগ এ বিষয়ে তাদের অবস্থান এখনো পরিষ্কার করেনি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.