বড়পর্দায় ফের কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ছবি। যা ঘিরে প্রথম থেকেই উত্তেজিত বাঙালি সিনেমাপ্রেমীরা। কারণ অতীতে তাঁর তৈরি সব সিনেমাই মন ছুঁয়েছে আপামর দর্শকদের।
কৌশিকের ‘লক্ষ্মী ছেলে’ মুক্তির পাওয়ার পরেও অধিকাংশের মধ্যেই উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেছে। সেই তালিকায় রয়েছেন লেখিক তসলিমা নাসরিনও। নেট মাধ্যমে লম্বা পোস্টে কৌশিকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ তসলিমা। বারবার তাঁর ছবি মুগ্ধ করেছে বলেও লিখেছেন তিনি। সেই সঙ্গে মুসলিম পরিচালকদের উদ্দেশেও প্রশ্ন তুলেছেন।
‘লক্ষ্মী ছেলে’র সঙ্গে নিজের অদ্ভুত মিল পেয়েছেন তসলিমা। তাঁর জীবনধারা, তাঁর স্বাধীনচেতা মনোভাবের সঙ্গে লক্ষ্মী ছেলের মিল দেখেই ফেসবুকে তসলিমা লিখেছেন, ‘কৌশিক গাঙ্গুলির ‘লক্ষ্মী ছেলে’ দেখে এলাম। দেখতে দেখতে মনে হচ্ছিল লক্ষ্মী ছেলেটি আমি, আমার সঙ্গে ছেলেটির অদ্ভুত মিল। আমি যেমন সারাজীবন যে কথাটি বলা উচিত সে কথাটি বলেছি, যে কাজটি করা উচিত সে কাজটি করেছি, লক্ষ্মী ছেলেটিও তাই করেছে। যেমন আমি সাত পাঁচ ভাবিনি, কী হবে না হবে ভাবিনি, লক্ষ্মী ছেলেটিও তাই। আমি মিশে যাচ্ছিলাম চরিত্রটির সঙ্গে। কী অসাধারণ টপিক! সবার অভিনয়ই কী অসাধারণ!’
কৌশিক গাঙ্গুলির ভূয়সী প্রশংসা করে লেখিকা আরও বলেন, ‘কৌশিকের নতুন ছবি এলেই প্রশ্ন জাগে, এবারের ছবিও কি তাঁর আগের ছবির মতোই ভাল? আমি বুঝি না একজন পরিচালক পর পর এত ভাল ছবি করেন কী করে? জগতবিখ্যাত বার্গম্যান, কুব্রিক, কুরোসাওয়া, স্করসেস, ফেলিনি, তারকোভস্কি, হিচককেরও সব ছবি ভাল হয়নি। কৌশিকের মনে হচ্ছে সব ছবিই ভাল।’
তসলিমা হতাশ একটি কারণেই। মুসলিম পরিচালকরা কেন নিজেদের ধর্মীয় উন্মাদনা নিয়ে ছবি তৈরি করেন না, তা ঘিরেই ফের সরব তিনি। সেই পোস্টেই লেখিকা প্রশ্ন তুলেছেন, ”লক্ষ্মী ছেলে’ দেখতে দেখতে ভাবছিলাম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, ইহুদিরা তাঁদের কুসংস্কার, ধর্মীয় উন্মাদনা আর ধর্ম ব্যবসা নিয়ে অনেক কালজয়ী ছবিই তো করলেন, মুসলমানরা কবে তাঁদের ওসব নিয়ে ছবি করবেন?’