আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আন্তোয়নেট মনসিও সায়েহ বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ দারিদ্র্য হ্রাসে এবং জীবনযাত্রার মানের উল্লেখযোগ্য উন্নতিতে অবিচল অগ্রগতি অর্জন করেছে।
কোভিড-১৯ মহামারি এবং পরে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এই দীর্ঘসময়ের শক্তিশালী অর্থনৈতিক কর্মক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করেছিল। একাধিক ধাক্কা বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনাকে চ্যালেঞ্জিং করে তুলেছে।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় অনুষ্ঠিত আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদের বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। এই বৈঠকে বাংলাদেশ সরকারকে দুটি খাতে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন দেয় আইএমএফ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য উচ্চাভিলাষী সংস্কার এজেন্ডাকে ত্বরান্বিত করতে হবে। এক্ষেত্রে ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চমধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছানোর এবং টেকসই ও উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) পূরণে এবং আকাঙ্ক্ষা অর্জনে মানবপুঁজি এবং অবকাঠামোতে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে।
চ্যালেঞ্জগুলো স্বীকার করে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যাগুলো মোকাবিলা করার প্রয়োজনীয়তাও স্বীকার করতে হবে, যা সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।
তিনি বলেন, ইসিএফ ঋণব্যবস্থা সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা করবে এবং বাংলাদেশের সংস্কার এজেন্ডাকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে। করনীতি এবং রাজস্ব প্রশাসন সংস্কার উভয়ের ওপর নির্ভর করে এমন গার্হস্থ্য রাজস্ব সংহতি কৌশলের বাস্তবায়ন টেকসইভাবে সামাজিক উন্নয়ন এবং জলবায়ু ব্যয়বৃদ্ধির অনুমতি দেবে। পাবলিক ফাইন্যান্স, বিনিয়োগ এবং ঋণের ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করার জন্য আর্থিক সংস্কার ব্যয়দক্ষতা, শাসন এবং স্বচ্ছতা উন্নত করবে।
আর্থিক খাতের দুর্বলতা হ্রাস, তদারকি জোরদার, শাসনব্যবস্থা এবং নিয়ন্ত্রক কাঠামো উন্নত করা এবং পুঁজিবাজারের উন্নয়ন প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে সহায়তার জন্য অর্থায়ন একত্রিত করতে সহায়তা করবে বলে জানান তিনি।