বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দল কী করবে সেটা যুক্তরাষ্ট্রের দেখার বিষয় নয়। তবে দেশের আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের নাগরিকদের নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত নতুন ভিসানীতিকে স্বাগত জানানোয় ওয়াশিংটন খুশি হয়েছে বলেও জানিয়েছে দেশটি।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এক নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এসব কথা বলেন।
ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, শান্তি, সমৃদ্ধি এবং নিরাপত্তার অগ্রগতির জন্য সবচেয়ে স্থায়ী উপায় হচ্ছে গণতন্ত্র। এ কারণেই আমরা এই ঘোষণা দিয়েছি, উভয় দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, বাংলাদেশের আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ চায় যুক্তরাষ্ট্র। আর এ জন্যই নতুন ভিসানীতি আরোপ করেছে দেশটি।
এর আগে বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচনের স্বার্থে এক নতুন ভিসানীতির কথা ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন গত বুধবার টুইটে এ ঘোষণা দেন।
এই নীতির আওতায় যে কোন বাংলাদেশি ব্যক্তি যদি দেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের প্রক্রিয়া ব্যাহত করার জন্য দায়ী হন বা এরকম চেষ্টা করেছেন বলে প্রতীয়মান হয়, তবে যুক্তরাষ্ট্র তাকে ভিসা দেওয়ার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বর্তমান এবং সাবেক বাংলাদেশি কর্মকর্তা, সরকার-সমর্থক ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যরা, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা, বিচারবিভাগ ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সদস্যরাও এর আওতায় পড়বেন।