মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারের বিশ্বকাপের দিন গণনা শুরু হয়ে গেছে। আর মাত্র ১১ দিন পরেই মাঠে গড়াবে ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ খ্যাত এই প্রতিযোগিতা। এজন্য গোটা বিশ্ব থেকে সমর্থকরাও নিজেদের প্রস্তুত করছেন। ইতোমধ্যে নিজেদের দলকে সমর্থন জানাতে কাতারে আসতে শুরু করেছেন বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ দর্শক। তবে এদের মধ্যে থেকে ৬ হাজার আর্জেন্টাইন সমর্থক খেলা দেখতে কাতারের স্টেডিয়ামে ঢুকতে পারবেন না।
উগ্র সমর্থক কিংবা অবৈধ কোনো সংগঠনের সঙ্গে জড়িত, খাবার খেয়ে বিল না দেওয়া এমন ৬ হাজার ব্যক্তির তালিকা প্রস্তুত করেছে আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ার্স কর্তৃপক্ষ।
এই ৬ হাজার সমর্থক কাতার বিশ্বকাপে গিয়ে খেলা দেখার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আর্জেন্টিনা কর্তৃপক্ষ।
বুয়েন্স আয়ার্স সিটি কর্তৃপক্ষ সোমবার (৭ নভেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে বলে খবর কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ।
বুয়েন্স আয়ার্স সিটির জাস্টিস অ্যান্ড সিকিউরিটি মিনিস্টার মার্সেলো ডি আলেসান্দ্রো স্থানীয় একটি রেডিও স্টেশনকে বলেন, ‘সহিংস সমর্থকেরা এখানে এবং কাতারেও আছেন। আমরা ফুটবলে শান্তি ফেরাতে চাই আর তাই সহিংসরা (সমর্থক) স্টেডিয়ামের বাইরে থাকবে।
এদের নিষিদ্ধ করার কারণটিও ব্যাখ্যা করেছেন ডি’আলেসান্দ্রো। তিনি বলেন, ‘বারাস’ (সহিংস সমর্থক) সমর্থকগোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা এ তালিকায় আছেন, যারা হিংস্র কাজে যোগ দেন এবং ত্রাপিতোজের (অবৈধ ব্যবসা) সঙ্গে জড়িত। যেসব সন্তান (বিচ্ছেদ ঘটা মা–বাবার) নিজের খরচ মেটাতে পারেন না, তারাও আছেন এই তালিকায়।
কাতারে বিশ্বকাপ চলাকালে সমর্থকরা কড়া নিরাপত্তায় থাকবে। এজন্য বিভিন্ন দেশের পুলিশ থেকে শুরু করে সামরিক বাহিনী কাতারের নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর সঙ্গে কাজ করবে।
এদিকে গত জুন মাসে কাতার দূতাবাসের সঙ্গে আর্জেন্টিনার জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় একটি চুক্তি সই করে। যেন বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার সহিংস সমর্থকরা স্টেডিয়ামে ঢুকতে না পারেন।
ডি’আলেসান্দ্রো আরও জানিয়েছেন, কাতার বিশ্বকাপে স্টেডিয়ামে ঢোকা থেকে যে ৬ হাজার সমর্থককে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে প্রায় ৩ হাজার সমর্থক ‘বারাব্রাভাস’ সমর্থকগোষ্ঠীর সদস্য। সহিংস আচরণের কারণে তাদের স্থানীয় ফুটবল ম্যাচ দেখাও নিষিদ্ধ। ‘বারাব্রাভাস’ আর্জেন্টিনার উগ্র ফুটবল সমর্থকগোষ্ঠী।
উল্লেখ্য, ফিফা বিশ্বকাপের এবারের আসর শুরু হবে ২০ নভেম্বর। ‘সি’ গ্রুপে আর্জেন্টিনার প্রতিদ্বন্দ্বী সৌদি আরব, মেক্সিকো ও পোল্যান্ড।