The news is by your side.

এমন ফুটবল উন্মাদনা আরও চান মেসি

0 85

উৎসব চলছেই আর্জেন্টিনায়। পানামার পর কুরাসাওয়ের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ দুটি ছিল উপলক্ষ মাত্র। মনুমেন্টালের পর সান্তিয়াগোতেও থাকল আনন্দ, উল্লাস আর আবেগের জোয়ার। এর মধ্যেও আসল কাজটা ভুলে যাননি লিওনেল মেসি-দি মারিয়ারা। কুরাসাওকে ৭-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। লিওনেল মেসি করেছেন হ্যাটট্রিক, সেই সঙ্গে কেবল তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে আন্তর্জাতিক ফুটবলে পা রেখেছেন ১০০ গোলের মাইলফলকে।

নিজের এই কীর্তির চেয়ে আর্জেন্টিনাকে ঘিরে দেশে যে ‘পাগলামি’ চলছে সেটা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানালেন এই কিংবদন্তি, ‘সবার সঙ্গে এ ধরনের আরো আনন্দ-উৎসব ভাগাভাগি করে নেওয়ার প্রত্যাশা করছি। এই পাগলামো যেন শেষ না হয়।’

মেসি প্রথম গোলটা করেন ২০তম মিনিটে। মেসির পরের দুই গোল ৩৩ ও ৩৭ মিনিটে। আর্জেন্টিনার হয়ে অন্য চারটি গোল করেছেন নিকো গনজালেজ, এনসো ফের্নান্দেজ, আনহেল দি মারিয়া আর গনসালো মনতিয়েল। ফিফা র্যাংকিংয়ে ৮৬ নম্বরে থাকা মাত্র ৪৪৪ বর্গকিলোমিটারের কুরাসাওয়ের বিপক্ষে বড় জয় নিয়ে মাতামাতি না করলেও বিশ্বকাপের পর আর্জেন্টিনায় চলা উৎসবটা চান কোচ লিওনেল স্কালোনিও, ‘আমাদের বিশ্বকাপ জয়ের উৎসব কখনো থামবে না। এটাই হওয়া উচিত, গোটা দেশ এই সাফল্য উপভোগ করে যাক।’

লিওনেল মেসি হ্যাটট্রিক করেছেন ১৮ মিনিটে, যা আর্জেন্টিনার জার্সিতে তাঁর দ্রুততম। এর আগে ২১ মিনিটে হ্যাটট্রিক করেছিলেন ২০১৬ সালে পানামার বিপক্ষে। তবে ক্লাব ক্যারিয়ারে ২০১৫ সালে ১৩ মিনিটে হ্যাটট্রিক করেছিলেন রায়ো ভায়োকানোর বিপক্ষে। ক্যারিয়ারে এটা তাঁর ৫৭তম হ্যাটট্রিক আর আাার্জেন্টিনার জার্সিতে নবম। জাতীয় দলের হয়ে ১০টি হ্যাটট্রিক আছে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর। ক্যারিয়ারের ৬২টি হ্যাটট্রিক নিয়ে তিনিই কেবল এগিয়ে মেসির চেয়ে।

১৭৪ ম্যাচে মেসির গোল এখন ১০২টি। আর্জেন্টিনার হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৬ গোল গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতার। মেসির অভিষেক ২০০৫ সালে। তিনি প্রথম গোল করেন ষষ্ঠ ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে। ৫০ গোল পান ১০৭তম ম্যাচে। বয়স যত বেড়েছে, গোলের ক্ষুধাও বেড়েছে তত। পরের ৬৭ ম্যাচে মেসির গোল ৫২টি। কুরাসাওয়ের বিপক্ষে শততম গোল করায় ইতিহাসের পাতাতেই এখন থাকবে ছোট্ট এই দেশ।

১০২ গোলের মধ্যে প্রীতি ম্যাচে সর্বোচ্চ ৪৮ বার লক্ষ্যভেদ করেছেন মেসি। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে গোল ২৮টি, কোপা আমেরিকায় ১৩ আর বিশ্বকাপেও গোল ১৩টি। তিনি বাঁ পায়ে গোল করেছেন ৯০টি, ডান পায়ে ১০ আর হেডে দুটি।

প্রথম বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হিসেবে আন্তর্জাতিক ম্যাচে শততম গোল করা এই কিংবদন্তিকে নিয়ে সতীর্থ নিকোলাস গঞ্জালেজ যা বললেন সেটা হয়তো মেনে নিতে আপত্তি করবেন না কেউই, ‘আসলে মেসিকে আপনি ভাষায় প্রকাশ করতে পারবেন না। যখনই সে বল স্পর্শ করে, আপনার মুখে হাসি ফুটবে।’

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.