এই সময়ে বিয়ের মতো বড় দায়িত্ব নিতে চাই না: নুসরাত ফারিয়া
ভাগ্য মানুষকে কোথায় কখন নিয়ে যায়, তা কি আমরা কেউ বলতে পারি?
নুসরাত ফারিয়া। প্রথমবার নিজের ছবি নিয়ে কোনো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিয়েছেন। দেশে নতুন সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি।
ছবি ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হয় তাঁর সঙ্গে…
ক্যারিয়ারে প্রথম আন্তর্জাতিক কোনো উৎসবে নিজের ছবি নিয়ে অংশগ্রণ করলেন। কেমন লেগেছে?
আন্তর্জাতিক কোনো চলচ্চিত্র উৎসবে আমার অংশগ্রহণ এটিই প্রথম। গত ২৫ থেকে ২৭ নভেম্বর ভারতের গোয়ায় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিয়েছি। অসাধারণ অভিজ্ঞতা হয়েছে। সেখানে আমাদের ‘পাতাল ঘর’ প্রদর্শিত হয়েছে। এটি দর্শকের প্রশংসা কুড়িয়েছে। এর আগে অনেক অ্যাওয়ার্ড শোতে আমার অংশ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু চলচ্চিত্র নিয়ে এমন বড় পরিসরের উৎসবে লালগালিচায় হাঁটা হয়নি। এবার নিজের ছবির প্রতিনিধিত্ব করলাম লালগালিচায়। বিশ্বাস করেন, আমি লালগালিচায় হাঁটার জন্য এবার প্রস্তুতিও নিয়েছি। আলাদা করে শাড়ি বানিয়েছিলাম। সেই শাড়ি পরেই লালগালিচায় হেঁটেছি।
উৎসবে প্রাপ্তি কী?
এ ধরনের উৎসবে অংশগ্রহণই বড় ব্যাপার। গোয়ায় যে ক’দিন থেকেছি, সিনেমার পরিবেশের মধ্যেই ছিলাম। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের পরিচালক, প্রযোজক, অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে। আলাপ-আলোচনা হয়েছে। চেনাজানা হয়েছে। আমাদের সম্পর্কেও তাঁরা জেনেছেন। আমাদের ছবি নিয়ে তাঁরা আগ্রহ দেখিয়েছেন।
দেশে ফিরেই তো নতুন ছবির খবর দিলেন; এই ছবির কাজে আগ্রহী হলেন কেন?
অনম বিশ্বাসের ছবি ‘ফুটবল ৭১’। তাঁকে নিয়ে তো নতুন করে বলার কিছু নেই। গল্প অসাধারণ। ‘৭১-এর ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের গল্পে নির্মিত হচ্ছে এটি। আশা করি অনম দার সঙ্গে আমার এ জার্নি দারুণ হবে।
এর মধ্যে আপনার আর রনির সম্পর্ক ভাঙার খবরও তো জানালেন?
বিয়ে নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। আর কথা বাড়াতে চাই না। মাত্রই গ্র্যাজুয়েশন শেষ হলো। কাজে আরও বেশি সময় দিতে চাই। এই সময়ে বিয়ের মতো বড় দায়িত্ব নিতে চাই না।
বাগদান হলেও রনিকে বিয়ে করছেন না- এটা কি সত্য?
আসলে ভাগ্য মানুষকে কোথায় কখন নিয়ে যায়, তা কি আমরা কেউ বলতে পারি? পারি না। আমরা সবাই জানি, জন্ম-মৃত্যু-বিয়ে এসব মানুষের হাতে নেই। ভাগ্যে থাকলে আমাদের বিয়ে হবেই।