The news is by your side.

ইতিহাসের অনন্য উচ্চতায়  টিম বাংলাদেশ

টি-টোয়েন্টি : ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সিরিজ জয়

0 107

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। দুই ফরম্যাটের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে টি-২০ সিরিজে হারিয়ে শোধ নিল টাইগাররা। চট্টগ্রামে তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথমটিতে জয়ের পর মিরপুরে দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে সাকিবের দল জিতলো ৪ উইকেটে। এক ম্যাচ হাতে রেখে নিশ্চিত করলো ঐতিহাসিক টি-২০ সিরিজ জয়।

বোলাররাই অর্ধেক কাজ সেরে রেখেছিলেন। বাংলাদেশের সামনে জয়ের লক্ষ্য ছিল মোটে ১১৮ রানের। সহজ হলেও অবশ্য শেরে বাংলার পিচে সহজে ধরা দেয়নি জয়।

উইকেটের মন্থর গতি আর আনইভেন বাউন্সকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে চাপে রাখে ইংলিশরা। কিন্তু এই বাংলাদেশ তো অন্যরকম, পিচের চরিত্র বুঝে খেলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা।

রান তাড়ায় নেমে প্রথম দুই ওভারে ১৫ রান তোলেন লিটন দাস আর রনি তালুকদার। কিন্তু লিটন চলতি সিরিজে আরও একবার ব্যর্থতার পরিচয় দেন। দায়িত্বজ্ঞানহীন পুল খেলতে গিয়ে স্যাম কারানকে উইকেট দিয়ে ফেরেন এই ওপেনার (৯ বলে ৯)। পাওয়ার প্লে’র মধ্যেই ৭ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

তৃতীয় উইকেট জুটিতে শুরুর চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন নাজমুল হোসেন শান্ত আর তৌহিদ হৃদয় মিলে। তবে ইংলিশদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রান তোলার গতি ছিলো মন্থর। দুজন মিলে গড়েন ২৯ রানের জুটি। দলীয় ৫৬ রানে গিয়ে আগের ম্যাচে অভিষেক হয় হৃদয় ফেরেন ১৮ বলে ১৭ রান করে। ইংল্যান্ডের হয়ে এই ম্যাচেই অভিষেক হওয়া রেহান আহমেদের বলে ক্রিস ওকসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন হৃদয়।

৫৬ রানে ৩ উইকেট হারালেও উইকেটের এক প্রান্তে লড়তেছিলেন আগের ম্যাচের ম্যাচসেরা শান্ত। চতুর্থ উইকেটে মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে দলকে নিয়ে যেতে থাকেন জয়ের দিকে। দুজন মিলে এই জুটিতে যোগ করেন ৪১ রান। দলীয় ৯৭ রানে গিয়ে আর্চারের বলে আদিল রশিদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মিরাজ। ফেরার আগে করেন ১৬ বলে ২০ রান।

জয়ের জন্য আর বাকি ২১ রান। উইকেটে আসেন টাইগার ক্যাপ্টেন সাকিব আল হাসান। তবে সমর্থকদের আআজ হতাশই করেছেন সাকিব। ৩ বল খেলে মঈন আলীর বলে ফিরেছেন শুন্য রানেই। দলীয় ১০০ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় বংলাদেশ। সাত নম্বরে নেমে আফিফও ব্যর্থ এদিন, ৩ বলে ২ রান করেই ফেরেন আর্চারের ১৪৮ কি.মি. গতির বোলিংয়ে। ১০৫ রানেই ষষ্ঠ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

তবে শান্ত বুক চিতিয়ে লড়ে গেছেন শেষ পর্যন্ত। ৪৭ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ৪৬ রানে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছেড়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। টানা দুই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেন তাসকিন আহমেদ (৩ বলে অপরাজিত ৮)।

এর আগে বোলাররা তাদের কাজটা করে দিয়েছেন। অফস্পিন ভেল্কিতে ইংল্যান্ডের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপকে দুমড়ে মুচড়ে দিয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে মিরাজ একাই নেন ৪ উইকেট। ইনিংসের শেষ বলে ইংল্যান্ড অলআউট হয় ১১৭ রানে।

 

 

 

 

 

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.