The news is by your side.

ইউক্রেন যুদ্ধে সামরিক লড়াইয়ে কেউ–ই জিতবে না!

0 81

 

ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ বন্ধের একমাত্র কৌশল কূটনৈতিক উপায়ে শান্তি চুক্তি করা। যুদ্ধক্ষেত্রে সম্মুখ লড়াইয়ের মাধ্যমে চূড়ান্ত জয় অর্জন সম্ভব নয়। কেননা, ইউক্রেন যুদ্ধে সামরিক লড়াইয়ে কেউই জিতবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মিলে এই মন্তব্য করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনে সামরিক উপায়ে রাজনৈতিক স্বার্থ অর্জন রাশিয়ার পক্ষে প্রায় অসম্ভব। রাশিয়া ইউক্রেন দখল করে নেবে—এমন চিন্তা অবাস্তব।’ তবে তাঁর এমন মতের পক্ষে সুস্পষ্ট কোনো কারণ উল্লেখ করেননি জেনারেল মিলে।
জেনারেল মিলে আরও বলেন, যুদ্ধরত রুশ সেনাদের চলতি বছরের মধ্যে ইউক্রেন থেকে বিতাড়িত করাও ‘খুবই কঠিন’ হবে। একই সঙ্গে রাশিয়ার দখলে যাওয়া ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডগুলো পুনরুদ্ধার করাটাও খুব কঠিন হবে।
জেনারেল মিলে বলেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধের একটি শিক্ষা হলো—প্রচলিত যুদ্ধাস্ত্রের বহুল ব্যবহার। এ জন্য আমরা আমাদের নিজস্ব অস্ত্রের মজুত ও পরিকল্পনাগুলো নতুন করে যাচাই করে দেখছি। যাতে জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য আমরা প্রস্তুত থাকতে পারি এবং বাজেটে তা যুক্ত করতে পারি। কেননা, গোলাবারুদ খুবই ব্যয়বহুল।’
যুক্তরাষ্ট্রে এখনকার সামরিক বাজেটের আকার ৮১ হাজার ৭০০ কোটি ডলার, যা বিশ্বের বড় বড় ১০টি সামরিক শক্তির সমন্বিত বাজেটের বেশি। তার ওপর গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে ইউক্রেনের জন্য সহায়তা হিসেবে ১১ হাজার কোটি ডলারের বেশি অর্থ অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। নিজস্ব মজুতের অস্ত্র ইউক্রেনকে সহায়তা হিসেবে দেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের সমালোচনা করেছেন মার্কিন আইনপ্রণেতাদের অনেকেই।
ইউক্রেনের এখনকার যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে গত সপ্তাহে ব্রাসেলসে সাংবাদিকদের জেনারেল মিলে বলেছিলেন, যুদ্ধক্ষেত্রে ও কৌশলগতভাবে রাশিয়া অনেক কিছু হারিয়েছে। তারা (রাশিয়া) যুদ্ধক্ষেত্রে একটি বিশাল মূল্য পরিশোধ করছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.