ইন্টার মায়ামি ও আল হিলালের সোমবার রাতের লড়াইটি কাগজে কলমে ছিল প্রীতি ম্যাচ। তবে তারার মেলায় সেটি পেয়েছিল বাড়তি গুরুত্ব। মায়ামির জার্সিতে ছিলেন লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেজ, বুসকেটস। আল হিলালের জার্সিতে মাঠে নেইমার উপস্থিত থাকলে বার্সেলোনার সেই ‘ত্রিরত্ন’কে অন্তত আরো একবার দেখতে পেত ফুটবল বিশ্ব। কিন্তু চোটের কারণে মাঠের বাইরে আল হিলাল তারকা। তাই বার্সেলোনার সাবেক দুই সতীর্থ লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেজের সঙ্গে তার পুনর্মিলনীটা হতে গিয়েও হলো না। তবে নেইমারকে ছাড়াই এদিন রোমাঞ্চকরের জয় পেয়েছে আল হিলাল। ঘরের মাঠে ৭ গোলের লড়াইয়ে মেসির মায়ামিকে ৪-৩ ব্যবধানে হারিয়েছে সৌদির ক্লাবটি।
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের কিংডম অ্যারেনায় এদিন ম্যাচের ১০ মিনিটেই এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। সৌদি প্রো লিগের ক্লাবটির হয়ে জালে বল জড়ান আলেক্সান্দার মিত্রোভিচ। ৩ মিনিটের ব্যবধানে দলের স্কোর দ্বিগুণ করেন আল হামদান। শুরুতে দুই গোল হজম করে বড়সড় ধাক্কা খায় মায়ামি।
ম্যাচের ৩৪ মিনিটে ইন্টার মায়ামিতে অভিষেকের পর প্রথমবারের মতো গোল করেন সুয়ারেজ। তবে ব্যবধান কমিয়েও খুব বেশিক্ষণ স্বস্তিতে থাকতে পারেনি মায়ামি। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে ব্যবধান বাড়ান আল হিলালের মিশেল দেলগাদোর। এতে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় আল হিলাল।
বিরতির পর দ্রুতই ব্যবধান কমান মেসি। ডেভিড রুইজ আল হিলালের বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় দলটি। স্পটকিক থেকে গোল পান আর্জেন্টাইন অধিনায়ক মেসি। ২০২৪ সালে এটিই তার প্রথম গোল। এক মিনিট পরই রুইজের গোলে সমতায় ফেরে মায়ামি। বাকি সময়ে গোলের জন্য মরিয়া দুই দলই অনেকক্ষণ গোল পাচ্ছিল না। একটা সময় মনে হয়েছিল, ম্যাচটা হয়তো ৩-৩ সমতায় শেষ হতে যাচ্ছে। কিন্তু নাটকীয়তার তখনও বাকি। ম্যাচের ৮৭ মিনিটে মেসিকে তুলে নেওয়ার এক মিনিট পরই আল হিলালকে এগিয়ে নেন ব্রাজিলিয়ান তারকা ম্যালকম। এই গোলেই ৪-৩ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত হয় আল হিলালের।
বৃহষ্পতিবার আল নাসরের বিপক্ষে সৌদি আরবে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে মায়ামি।