The news is by your side.

আমি নতুন পথে হাঁটতে চাই, যে পথ সুন্দর, নান্দনিক: জয়া আহসান

0 178

 

জয়া আহসান। সম্প্রতি শেষ করলেন একটি হিন্দি ছবির কাজ।  ‘পিঙ্ক’ খ্যাত নির্মাতা অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর নতুন ছবি ‘কড়ক সিং’। কথা বললেন চলচ্চিত্র ভাবনা নিয়ে।

আপনার হিন্দি মুভির অভিজ্ঞতাটা কেমন?

কাজ শেষ করলাম। ছবিটি সিঙ্ক সাউন্ডে কাজ হয়েছে বলে ডাবিংয়েরও প্রয়োজন নেই। তাই বলতে পারি রিলিজের আগে ছবির জন্য আমার কাজটুকু শেষ করেছি। অভিজ্ঞতা এক কথায় দারুণ!

ঢালিউড, টলিউডের পর বলিউড প্রডাকশনের কাজ সম্পর্কে শুনতে চাই।

কাজ বা টীমওয়ার্ক মূলত নির্মাতার ওপরেই নির্ভর করে। সেক্ষেত্রে আমি বলবো। টনি দা [নির্মাতা অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী ]’র সাথে অনেকদিন ধরেই একটা কাজের প্ল্যান হয়ে আসছিল। একটা বাংলা ছবি করবো, শুরুতে এরকম একটাই ভাবনা ছিল আমাদের। পরে টনিদাই বললেন, ‘দেখো একটি হিন্দি ছবির চরিত্র আছে। তুমি করতে পারো।’ টনিদার আগের কাজগুলোও বিশ্লেষণ করলে দেখবেন। উনার ছবিগুলো শুধু একটা নির্দিষ্ট সময়কে ধারণ করে বুনেন না।

হিন্দি ডায়লগ বা কাজের ক্ষেত্রে পরিবেশ…

খুব বেশি সময় পেয়েছি যে, তা নয়। কারণ বাকি পুরোটীমটাই বোম্বের ও দক্ষিণের। ওরা অনেক রিহার্সেল করেছে। তবে টনিদা’কে দেখলাম এক অদ্ভুত স্টাইল তার। তিনি আসলে ছবিটা বুনতে বুনতে যান। কখনও তার হাতে আমি স্ক্রীপ্ট দেখিনি পুরো বিষয়টি উনি মাথার ভেতরে নিয়ে ঘোরেন।

কো আর্টিস্ট হিসেবে পঙ্কজ ত্রিপাঠি কেমন ?

ভীষণ সেনসিটিভ এবং দায়িত্বশীল। কাজের ব্যাপারে খুবই হেল্পফুল একজন। শুধু পঙ্কজদার কথা বললে ভুল বলা হবে। টোটাল প্রডাকশন ইউনিটটাই ছিল দারুণ হেল্পফুল।

সোস্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু ছবিও দেখলাম আপনাদের

আমরা যেখানে শুটিং করছিলাম, স্বাভাবিকভাবেই সবাইকে একটি করে রুম দেয়া হলো। তো দেখা গেল, কোনো একদিন পঙ্কজ দা নিজেই মোমো বানিয়ে নিয়ে আসছেন। আমাদের খাওয়ালেন। উনি খুব দারুণ মমো বানান। একদিন বিহারি মাটন রান্না করে এনে শুটিংয়ের ফাঁকেই আমাকে বলছেন, ‘জয়াজি- শটদা দিয়েই চলে আসুন। আমরা সবাই রুমে, একসাথে খাবো। একদিন লিট্টিচোখা নিয়ে এলেন। বিহারি এক বিখ্যাত ফুড। খুবই সুস্বাদু ও হেলদি। দারুণ সময় কেটেছে।

কড়ক সিংকবে রিলিজ হবে। আপনাকে এর ভেতরে নিশ্চয়ই অন্যান্য বলিউড প্রডাকশনে নক করেছে বা আলাপ হয়েছে?

হ্যাঁ। টনি দার ‘লস্ট’ এখন মুক্তির অপিক্ষায় রয়েছে। ছবিটিতে ইয়ামি গৌতম অভিনয় করেছেন। আর আমাদেরটা কবে রিলিজ দেওয়া হবে এটা আসলে প্রডিউসার কল। হিন্দি ছবি নিয়ে আবার কবে আসছি বা আসবো কি না, এসব আমার ক্যারিয়ার ভাবনা না। আমার চেষ্টা ভাল গল্প খোঁজা। খেয়ে না খেয়ে আমাকে হিন্দি ছবিতে কাজ করতেই হবে। এরকম ভাবনাও আমার নেই। আমি মনে করি বাংলার ব্র্রান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। এটাই আমার মূল দায়িত্ব।

তবু যদি এভাবে বলিহিন্দি ছবিতে কাজ করাটা নিশ্চয়ই ভাল গল্প বা টীম এর কারনেই। নাকি প্যান ইন্ডিয়া বা সর্বভারতে আরেকটু বিস্তৃতি পাওয়াটাও মনে মনে কাজ করেছে আপনার ? একজন শিল্পী তো এটা চাইতেই পারে ..

সর্বভারতে আমাকে দেখবে। একজন শিল্পী হিসেবে আমার কাজ অনেকে দেখুক। এসব ব্যাপারের চাইতেও আমি খুব ভাল কাজের লোভী। আমার লোভটা ঐ জায়গায়। আমি আসলে দর্শকের রুচি তৈরি করতে চাই। আজ থেকে অনেকগুলো বছর আগে আমি যে ধরণের ছবিতে কাজ শুরু করেছিলাম। আজ ওই ধরণের ছবিগুলোই বাংলাতে ট্রেন্ড। আমি অফট্র্যাক বলবো না। কিন্তু একজন শিল্পী হিসেবে আমি নতুন নতুন পথে হাঁটতে চাই। যে পথটা সুন্দর, নান্দনিক। হয়ত পথ ঘাস, লতাপাতায় ঢাকা। আমি ঐসব সরিয়ে নতুন পথ তৈরি করতে চাই।

বাংলাদেশ সম্পর্কে পঙ্কজের ধারণা বা আপনাদের গল্পে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ কতটুকু কেমন ছিল

অনেক অনেক আলাপ হয়েছে বাংলাদেশ নিয়েই। শুরুর যেদিন ভিডিও কলে টনি দা আমার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন। তারপর থেকে সেটে। আমি যেহেতু রিহার্সেল করার সুযোগ কম পেয়েছি। তাই আগেই চলে যেতাম সেটে। আসলে আর্টিস্টদের দেখবেন, সে যে দেশেরই হোক না কেন। একসাথে, একসুরে হয়ে গেলে, তারা সব একরকম।

সকলেই ওটিটি প্লাটফর্মে কাজ করছেন। তা ফিল্ম হোক বা সিরিজ। আপনার টা দেখব কবে?

ওটিটির অফার আসছে বেশ। তবে আমি চাই, ওটিটি করলে বাংলাদেশের ডিরেক্টরের কোনো কাজ দিয়ে শুরু করতে। অর্থাত্ ওটিটিতে আমার প্রথম কাজ হবে বাংলাদেশি নির্মাতার।

আপনার প্রডাকশন কোম্পানিসি তে সিনেমাতো সরকারি অনুদান পেলো বেশ বছর। ছবিটা কবে শুর হচ্ছে।

সরকারি সহযোগিতা ছাড়াও ‘ফেসকার্ড’ আছে আমাদের সাথে। আমরা নির্মাতাকে অলরেডি নিজেদের ভাবনা পরিকল্পনা বুঝিয়ে দিয়েছি। নির্মাতা সবকিছু গোছাচ্ছেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.