The news is by your side.

আদালতে জবানবন্দি দিলেন দিহানের বাসার দারোয়ান

0 536

 

ঘটনার দিন একাই রাজধানীর কলাবাগানে ডলফিন রোডে ইফতেখার ফারদিন দিহানের বাসায় গিয়েছিল মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা নূর আমিনা। এমনকি ঘটনার পর দিহান একাই গাড়িতে করে আনুশকাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। বাসার ভেতরে ও হাসপাতালে যাওয়ার সময় দিহানের সঙ্গে আর কেউ ছিল না। পুলিশ হেফাজতে দিহানদের বাসার দারোয়ান দুলাল মিয়া এসব কথা জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) দুলাল মিয়াকে আদালতে হাজির করে সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থানার পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) আ ফ ম আসাদুজ্জামান। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন দিহানের বাসার দারোয়ান দুলাল মিয়া। রোববার (১০ জানুয়ারি) রাতে কাজে ফেরেন তিনি। সোমবার সকালে মামলার সাক্ষী হিসেবে দুলাল মিয়াকে হেফাজতে নেয় পুলিশ।

দুলাল পুলিশকে জানায়, ঘটনার দিন সকাল থেকেই দুলাল দিহানদের বাসার গেটে দায়িত্বরত ছিলেন। ওইদিন বাসায় দিহান ছাড়া আর কেউ নেই বলে সে জানত। আনুমানিক দুপুরের দিকে দিহানদের বাসায় একটি মেয়েকে সে যেতে দেখে। আনুশকা বাসার ভেতরে যাওয়ার আনুমানিক ১ ঘণ্টার মধ্যে তাকে অচেতন অবস্থায় নিয়ে দিহান বের হয়ে আসে এবং গাড়িতে করে চলে যায়।

এদিকে এ বিষয়ে পুলিশ জানায়, আনুশকা ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় অভিযুক্ত দিহান ১৬৪ ধারায় যে জবানবন্দি দিয়েছে আদালতে এর পরিপ্রেক্ষিতে সাক্ষী হিসেবে দুলালকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। দুলাল যেহেতু এ মামলার আসামি নয়, সাক্ষ্য শেষে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে।

এর আগে গত ৮ জানুয়ারি ইফতেখার ফারদিন দিহান ধর্ষণের পর ওই ছাত্রীকে খুনের ঘটনায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

গত ৭ জানুয়ারি রাতে এ ঘটনায় কলাবাগান থানায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা কর্মস্থলের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন। এর এক ঘণ্টা পর তার বাবাও ব্যবসায়িক কাজে বাসা থেকে বের হন। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ওই শিক্ষার্থী তার মাকে ফোন করে কোচিং থেকে নোট আনার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন। আসামি দিহান দুপুর আনুমানিক ১টা ১৮ মিনিটে ওই শিক্ষার্থীর মাকে ফোন করেন। দিহান জানান, ওই মেয়ে তার বাসায় গিয়েছিলেন। হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়ায় তাকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়েছে।

অফিস থেকে বের হয়ে আনুমানিক দুপুর ১টা ৫২ মিনিটে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা হাসপাতালে পৌঁছান। হাসপাতালের কর্মচারীদের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, আসামি নিজ বাসায় ডেকে নিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন।

প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে অচেতন হয়ে পড়লে বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য আসামি নিজেই তাকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে কলাবাগান থানা পুলিশের একটি দল হাসপাতালে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.