পেশিশক্তির প্রভাব খাটালে ভোট বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, কোনো অবৈধ হস্তক্ষেপ, কোনো রাজনৈতিক দলের দমন-নিপীড়নসহ যে কোনো প্রকার অযাচিত কর্মকাণ্ড শক্ত হাতে প্রতিহত করা হবে।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন প্রার্থী এবং পরবর্তী সময়ে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ‘আগের রাতে ভোটসহ যেসব কথাবার্তা হয়েছে—আমরা ৯৯ শতাংশ নয়, শতভাগ নিশ্চিত করতে পারি যে, এরকম কোনো অবস্থাতেই হবে না। এজন্য অনেক কেন্দ্রে ব্যালট পেপার সকালে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আর মাঝখানে যদি কোনো পেশিশক্তির উদ্ভব ঘটে, তাহলে প্রিজাইডিং অফিসারকে বলা হয়েছে তিনি ভোট বন্ধ করে দেবেন। তিনি যদি বন্ধ না করেন, রিটার্নিং অফিসার অবহিত হলে তিনি বন্ধ করে দেবেন। তিনিও যদি বন্ধ না করেন, আমরা ঢাকা থেকে অবহিত হলে বন্ধ করে দেব।’
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘প্রার্থীরা তাদের পোলিং এজেন্ট দিয়ে স্বচ্ছ বাক্সগুলো খালি কি-না সেটি দেখে—তারপর বাক্স বন্ধ করবেন। সেক্ষেত্রে ভোটকেন্দ্রে অবৈধ কোনো ব্যালট বাক্স ঢোকার সুযোগ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘পোলিং এজেন্টরা ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ গণনা ও ফল ঘোষণা পর্যন্ত কেন্দ্রে অবস্থান করবেন। সবকিছু সঠিকভাবে হয়েছে কি-না তা জানবেন। যদি গণনা যথাযথভাবে শেষ হয়, তাহলে নিশ্চিতভাবে ভোট সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়ে গেল।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, দেশের বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী সহিংসতা কমিশনের নজরে রয়েছে। সহিংসতাকারীদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া আসন্ন নির্বাচনে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোর ব্যাপারে আলাদা নজরদারি করা হচ্ছে বলেও জানান সিইসি।
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ভোট সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে করার পূর্বপ্রস্তুতি হিসাবে চট্টগ্রাম জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাংগীর আলম, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল আহমেদ, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, রেঞ্জ পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) নুরে আলম মিনা ও জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।