The news is by your side.

৫২ –তে সিঙ্গল তব্বু, জন্মদিনে ফিরে দেখা অতীত

0 200

 

 

তবস্সুম ফতিমা হাশমি। ইন্ডাস্ট্রিতে তব্বু নামেই সবাই চেনেন ‘নেমসেক’ অভিনেত্রীকে। পেশাদার জীবনে কোনও দিন পদবী ব্যবহার করতে দেখা যায়নি তাঁকে।

ব্যক্তিগত জীবন বরাবর ছায়ায় রেখেছেন অভিনেত্রী। বাবা-মায়ের বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছিল যখন তব্বুর বয়স মোটে ৩ বছর! কোনও অপ্রিয় স্মৃতিকে জায়গা না দেওয়ার জন্যই কি পারিবারিক পদবী ত্যাগ করেছিলেন অভিনেত্রী? ৪ নভেম্বর তব্বুর জন্মদিনে ফিরে দেখা সেই অতীত।

ছোট থেকেই অন্তর্মুখী চরিত্রের মানুষ তিনি। সেই তব্বুই যে এক দিন পর্দায় দাপিয়ে বেড়াবেন, কে জানত! হায়দরাবাদে মামাবাড়িতে দাদু-দিদার কাছে বড় হয়েছেন তব্বু। এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমার মা শিক্ষিকা ছিলেন। তাই বেশি সময়টা মাতামহের সঙ্গেই কাটত। আমি খুব শান্ত ছিলাম। দিদা আমায় বই পড়ে শোনাত। আমি চুপচাপ শুনতাম। আমার কখনও কোনও বক্তব্য ছিল না। ইন্ডাস্ট্রিতে এসে নায়িকা হওয়ার পরেও নেই।”

তবে বাবার সঙ্গে একেবারেই সম্পর্ক রাখতে চাননি জাতীয় পুরস্কার জয়ী অভিনেত্রী। জানান, তেমন সংযোগ বোধ করতেন না ভিতর থেকে। বাবা তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে সংসার পেতেছিলেন অন্যত্র। বাবার পদবী ব্যবহার করতে ইচ্ছে করেনি তব্বুর। এই প্রসঙ্গে বলেন, “কখনওই ব্যবহার করিনি। বাবার পদবী গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়নি কোনও দিন। আমি সব সময়েই তবস্সুম ফতিমা ছিলাম। হাশমি হতে চাইনি। স্কুলেও ফতিমাই ছিল আমার পদবী।”

জানান, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বোনেরা বাবার সঙ্গে দেখা করলেও তিনি কখনও বাবার মুখ দেখার প্রয়োজন বোধ করেননি। কৌতূহল ছিল না তাঁর বাবাকে নিয়ে। তব্বুর কথায়, “যেমন ভাবে বড় হয়েছি, তাতে আমি খুব খুশি। নিজের মতো থাকতে ভালবাসি আমি।”

১৯৮২ সালে ‘বাজার’ ছবি দিয়ে পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেছিলেন তব্বু। ১৯৮৫ সালে ‘হম নওজওয়ান’ ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করশক। ক্রমশই তাঁর অসাধারণ অভিনয়শৈলীর প্রেমে পড়ে যান দর্শক। বলিউড, দক্ষিণী ছবি কিংবা হলিউড— সর্বত্র অভিনয়ের প্রস্তাব পান। প্রতি ছবিতেই নজর কাড়েন। এক কথায়, তাঁকে আশির দশকের সর্বাধিক কদরপ্রাপ্ত অভিনেত্রী বললে কম বলা হয় না।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.