হিজাব-বিরোধীদের সাহসে মুগ্ধ প্রিয়ঙ্কা চোপড়া !
ইরানের মাহশা আমিনির সমর্থনে হিজাব-বিরোধীদের পাশে দাঁড়ালেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া
ইরানের মাহশা আমিনির সমর্থনে হিজাব-বিরোধীদের পাশে দাঁড়ালেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া জোনাস। মাহশার মৃত্যুর প্রতিবাদে গর্জে ওঠা অগণিত কণ্ঠে যে ভাবে এই আন্দোলনের আঁচ টের পাওয়া যাচ্ছে, তা দেখে মুগ্ধ তিনি। এই বিক্ষোভের পক্ষে দাঁড়িয়ে ইনস্টগ্রামে একটি দীর্ঘ পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী। তাতে দেখা গিয়েছে, সাদা-কালোয় একটি স্কেচ— মাহশার হিজাবহীন খোলা চুলে জড়িয়ে হাজারো নারীর দমিত কণ্ঠস্বর। প্রিয়ঙ্কা লিখেছেন, ‘‘ইরান এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মহিলারা উঠে দাঁড়িয়ে মাহশা আমিনির জন্য আওয়াজ তুলেছেন, জনসমক্ষে নিজেদের চুল কেটে বা অন্য নানা উপায়ে প্রতিবাদ করছেন। ‘ঠিকমতো’ হিজাব না পরার জন্য যাঁর ক্ষণিকের জীবন অত্যন্ত নির্মম ভাবে কেড়ে নিয়েছেন ইরানের নীতিপুলিশরা। যুগ যুগ ধরে জোর খাটিয়ে চুপ করিয়ে রাখার পর বহু কণ্ঠস্বর শোনা যাচ্ছে, যা আগ্নেয়গিরির মতোই উদ্গীরণ করবে! এবং তাঁদের থামানো, দমানো যাবে না।’’
প্রতিবাদীরা যে ভাবে জীবনের ঝুঁকি সত্ত্বেও সরব হয়েছেন, তাতে ঘোর কাটছে না প্রিয়ঙ্কার। আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে লিখেছেন, ‘‘আপনাদের সাহসিকতা এবং অভীষ্ট লক্ষ্যে আমি বিস্মিত। নিজেদের অধিকারের জন্য আক্ষরিক অর্থেই জীবনের ঝুঁকি নেওয়া, পুরুষতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে চ্যালেঞ্জ ছোড়াটা সহজ কথা নয়। তবে আপনাদের মতো সাহসী নারীরা প্রতি দিনই নিজেদের ঝুঁকি নিয়ে তা করে চলেছেন। যাতে এই আন্দোলনের সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়ে। তাঁদের বক্তব্য শোনা উচিত আমাদের, এই বিষয়টি বোঝা উচিত এবং তারপর একত্রিত হয়ে গলা মেলানো উচিত। অন্যদেরও এই আন্দোলনে যোগদানে উৎসাহিত করা উচিত আমাদের। কারণ, সংখ্যার গুরুত্ব রয়েছে।’’
এতেই থেমে থাকেননি রাষ্ট্রপুঞ্জের ‘গুডউইল অ্যাম্বাসাডর’ বা শুভেচ্ছাদূত প্রিয়ঙ্কা। তাঁর আর্জি, ‘‘এই গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলনে নিজেদের শামিল করুন। সরব হোন, নিজেদের ওয়াকিবহাল রাখুন, যাতে এই কণ্ঠগুলিকে আর কোনও ভাবেই নীরব করে রাখা না যায়। আপনাদের সমর্থনে পাশে রয়েছি।’’ সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন কুর্দিশ ভাষায় ‘জিন, জিয়াঁ, আজ়াদি… উইমেন, লাইফ, ফ্রিডম।’
প্রসঙ্গত, ১৩ সেপ্টেম্বর গাড়িতে করে সপরিবার কুর্দিস্তান থেকে ইরানের রাজধানী তেহরানে আসার পথে মাহশার পথ আটকেছিলেন ‘নীতিপুলিশরা’। হিজাবহীন মাশহাকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল থানায়। অভিযোগ, পুলিশি হেফাজতে অকথ্য অত্যাচারের জেরে তিন দিন পর হাসপাতালে মারা যান মাহশা।