‘বলিউডের চিরকুমার’ সলমন খান। বলেন। বহু নারীর সঙ্গেই নাম জড়িয়েছে ‘ভাইজান’-এর। বহু সম্পর্কে থেকেছেন সলমন।
১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৯ সাল অবধি প্রেম করেছেন অভিনেত্রী সোমি আলির সঙ্গে। সেই প্রেম কি আদৌ সুখকর হয়েছিল? প্রাক্তন অভিনেত্রী তথা অধুনা সমাজকর্মী সোমির মতে, না। সেই সলমনের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন তিনি, এক বার নয়, বার বার।
সম্পর্কে থাকাকালীনই সলমন নাকি দুর্ব্যবহার করতেন সোমির সঙ্গে। গার্হস্থ হিংসা কাকে বলে, সে সব নাকি সলমনের সঙ্গে থাকতে গিয়েই বুঝেছিলেন সোমি। এ নিয়ে সমাজমাধ্যমে একাধিক পোস্ট করেছিলেন প্রাক্তন অভিনেত্রী। পরে অবশ্য ডিলিট করে দেন সেগুলি। কেন? বলেছিলেন, “আট বছরের বিভীষিকা। সলমনের সঙ্গে কাটানো সময় জীবন থেকে মুছে ফেলতে চাই।”
সোমি কি একটু বেশিই কড়া হয়েছিলেন তাঁর প্রাক্তনের প্রতি? প্রশ্ন করতে বলেন, “ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সেটুকু দরকার ছিল। এখন আমি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা চালাই। অতীতের হিংসা পুষে রেখে কোনও লাভ হয় না। রাগের মাথায় যে পোস্টগুলো করেছিলাম, সেগুলো নিজের কাছেই বিরক্তিকর এখন। আমার ভাবমূর্তির সঙ্গে যায় না। তাই সরিয়ে দিয়েছি।”
সলমন তাঁকে কী ভাবে দিনের পর দিন হেনস্থা করেছেন, সে কথাও জানান সোমি। তাঁর মতে, সলমন নারীবিদ্বেষী। বললেন, “আমাকে প্রতি মুহূর্তে ছোট করত। আমি কতটা কুৎসিত, বোকা আর বোধহীন সে কথা ফলাও করে বলে যেত সলমন। আমাকে বোঝাত, আমার কোনও দাম নেই। সেই সঙ্গে একের পর এক মহিলার সঙ্গে প্রেম করে বেড়াত নিজে। আট বছর এগুলোর মধ্যে দিয়েই গিয়েছি।”
শুধু তা-ই নয়, সোমির অভিযোগ, বন্ধুবান্ধবের সামনেও তাঁকে অসম্মান করতেন সলমন। প্রেমিকা হিসাবে স্বীকৃতিও দেননি বছরের পর বছর। এর পরই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চান সোমি। খুঁজছিলেন মনের মানুষ, যে তাঁকে ভাল রাখবে, যত্নে রাখবে।
কানাঘুষো শোনা যায়, সোমির পর আরও অনেক অভিনেত্রীর সঙ্গেই সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন সলমন। তালিকায় নাম রয়েছে মডেল-তারকা সঙ্গীতা বিজলানি, অভিনেত্রী ঐশ্বর্যা রাই এবং ক্যাটরিনা কইফের।
এর পর নাম জড়িয়েছিল শেহনাজ় গিলের সঙ্গে। বলিউডে তাঁর অভিষেক হয়েছে সলমনের জন্যই। বর্তমানে মডেল-তারকা লুলিয়া ভন্তুরের সঙ্গে সলমনের সম্পর্ক নিয়ে গুজব ছড়িয়েছে।