নির্বাচনের সব বিষয় নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তিনি বলেছেন, আমরা অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু সব বিষয় আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই, কিছু দায়িত্ব রাজনৈতিক দলগুলোরও আছে।
রোববার দুপুরে পাবনার বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘নির্বাচনে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
রাজনৈতিক সংকট আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করে নির্বাচনকে অর্থবহ করার আহ্বান জানিয়ে সিইসি বলেন, আমরা প্রত্যাশা করি, বড় রাজনৈতিক দলগুলো যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। নিজেদের মধ্যে যদি কোনো বোঝাপড়ার ঘাটতি থেকেও থাকে, সেটি সমাধান করতে হবে আলোচনার মাধ্যেমে। আমরা চাই, সবার সহযোগিতায় জনগণের কাছে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান করা।
নির্বাচন কমিশনের সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের সীমাবদ্ধতার কথাটা বলতে চাই। আমরা নির্বাচন করবো সংবিধানের বিধান অনুযায়ী। যেটা বর্তমানে বহাল আছে। সেভাবে আমাদের নির্বাচন করতে হবে। একইভাবে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে সব রাজনৈতিক দল, প্রধানতম রাজনৈতিক দলগুলো যেন নির্বাচনে অংশ নেয়। নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করে।
এ সময় ইভিএম নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, যারা ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, তারা এই মেশিনটি পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। বাংলাদেশে আনা এই অত্যাধুনিক মেশিনে শতভাগ ত্রুটিমুক্ত ভোট গ্রহণ সম্ভব। তবে ইভিএমের বিষয়ে কতিপয় লোকজনের মধ্যে আস্থার সংকট রয়েছে।
সিইসি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে আগামী নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হবে। প্রশাসন-পুলিশ, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দেওয়া সম্ভব। নির্বাচনের মতো বৃহৎ কর্মযজ্ঞ কেবল একক কোন সংস্থার মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মধ্যমে এ ক্ষেত্রে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো অতিক্রম করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান কমিশন নির্বাচনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বজায় রেখে এবং ভোটকেন্দ্রে সকল অনিয়ম রোধ করতে সক্ষম হয়েছে। সকল দলকে নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা রাখতে হবে।
রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহ্ এনডিসির সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও প্রকল্প পরিচালক অশোক কুমার দেবনাথ, রাজশাহীর উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক (রেঞ্জ ডিআইজি) আব্দুল বাতেন, পাবনার জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন ও পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী।